সোহেল রানাকে আটকের ছবি

ভারতে গ্রেফতার হওয়া বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে আটক হয়েছেন এক বাংলাদেশি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টিভি নাইনের খবরে বলা হয়েছে এ কথা। 

ওই খবরে বলা হয়েছে আটক বাংলাদেশির নাম মোহাম্মদ বাহারুল। তিনি সোহেল রানার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে শিলিগুড়ি পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন।  

গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিনের আপন ভাই ও প্রতিষ্ঠানটির পৃষ্ঠপোষক বলে পরিচিত বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানা। 

উল্লেখ্য, চলতি মাসের শুরুর দিকে মেখলিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশের পর ভারত-নেপাল সীমান্ত এলাকা থেকে বিএসএফের হাতে আটক হন সোহেল রানা। তবে তাকে আটকের সময় তার পরিচয় জানত না বিএসএফ। আটকের পর জানা যায় সোহেল রানার পরিচয়। 

টিভি ৯ লিখেছে, পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মোহাম্মদ বাহারুল গত ৯ সেপ্টেম্বর ভারতে আসেন। শিলিগুড়িতে কয়েকদিন থেকে তিনি কলকাতা যাচ্ছেন জানিয়ে হোটেল ছেড়ে চলে যান। এর দিন তিনেক পর আবার শিলিগুড়িতে ফিরে আসেন তিনি। জানান গৌহাটি থেকে ফিরছেন তিনি। তিনি বাংলাদেশের বাসিন্দা এবং তার কাছে বৈধ পাসপোর্টও রয়েছে। পুলিশের ধারণা সোহেল রানাকে কোনো বার্তা পৌঁছে দিতে বা সোহেল রানার কাছ থেকে কোনো গোপন তথ্য জানতেই তিনি শিলিগুড়ি এসেছিলেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

সোহেল রানাকে দেশে ফেরাতে বাংলাদেশ থেকে তিন দফায় চিঠি দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ দিল্লিতে অবস্থিত ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোকে (এনসিবি) চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। তবে ভারতের দিক থেকে এখনো কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।  

এর আগে বাংলাদেশ পুলিশের এনসিবি শাখা থেকে গত ৫ সেপ্টেম্বর প্রথম এবং ৭ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফায় অতিরিক্ত তথ্য সংযুক্ত করে চিঠি পাঠানো হয়। 

অগ্রিম অর্থ পরিশোধের পরও মাসের পর মাস পণ্য না পাওয়ায় গত ১৭ আগস্ট ই–অরেঞ্জের বিরুদ্ধে মামলা করেন প্রতারণার শিকার গ্রাহক মো. তাহেরুল ইসলাম। ওই সময় তার সঙ্গে প্রতারণার শিকার আরও ৩৭ জন উপস্থিত ছিলেন। গ্রাহকের ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ওই মামলা হয়। আসামিরা হলেন ই–অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান, আমানউল্ল্যাহ, বিথী আক্তার, কাউসার আহমেদ এবং পুলিশের বনানী থানার পরিদর্শক সোহেল রানা।

শুরু থেকেই ই–অরেঞ্জের সঙ্গে নিজের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন সোহেল রানা। তবে ইঅরেঞ্জ বাংলাদেশ নামে প্রতিষ্ঠান খুলতে নেওয়া টিআইএন সনদে পরিচালক হিসেবে সোহেল রানার নাম দেখা যায়। প্রতিষ্ঠানটি থেকে বিভিন্ন সময়ে আড়াই কোটি টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এনএফ/জেএস