‘প্রকৃত তথ্য মানুষের কাছে লুকানো যাবে না’
তথ্যের অধিকার মৌলিক মানবাধিকার এবং জনস্বাস্থ্য সংকটে সঠিক তথ্যের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি। জনস্বাস্থ্যের জরুরি পরিস্থিতির এবং প্রকৃত অবস্থার তথ্য মানুষের কাছে লুকানো যাবে না। জরুরি স্বাস্থ্য তথ্য যত বেশি মানুষকে জানানো যাবে, মানুষ তত বেশি সচেতন হবে, নিজেদের প্রস্তুত করতে পারবে।
বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস-২০২১ উপলক্ষে আর্টিকেল নাইনটিন ‘জনস্বাস্থ্য সংকটে নাগরিকের তথ্য অধিকার’ শীর্ষক একটি অনলাইন আলোচনা সভায় এ কথা বলেন বক্তারা।
বিজ্ঞাপন
অনুষ্ঠানে আর্টিকেল নাইনটিন বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুখ ফয়সলের সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) অফিস অব ফ্যাকাল্টি রিসার্চের অধ্যাপক ও পরিচালক ড. দীন এম সুমন রহমান, একাত্তর টেলিভিশনের কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স এডিটর মিথিলা ফারজানা এবং প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলাম।
আইইডিসিআরের উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, মহামারি মোকাবিলায় জনগণকে সম্পৃক্ত করা জরুরি। সবাইকে কথা বলার অধিকার দিলে সামগ্রিক পরিস্থিতি বুঝতে সুবিধা হয় এবং দরকষাকষির পরিবেশ তৈরি হয়। এতে সঠিক সিদ্ধান্ত আসে।
বিজ্ঞাপন
ইউল্যাবের সাংবাদিকতার অধ্যাপক ড. দীন এম সুমন রহমান বলেন, মহামারি শুধু জনস্বাস্থ্যের সংকট নয়, সঠিক তথ্যেরও সংকট। অপতথ্য সরবরাহ করা মানবাধিকারের লঙ্ঘন। ডিজিটাল মাধ্যমে যাতে অপতথ্য না ছড়ায় সে জন্য সাংবাদিক ও ব্যবহারকারীদের নিজ উদ্যোগেই ডিজিটাল লিটারেসি (ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার বিষয়ক মৌলিক জ্ঞান) সম্পর্কে জানতে হবে।
একাত্তর টেলিভিশনের মিথিলা ফারজানা বলেন, মহামারি আমাদের তথ্যের গুরুত্ব নতুন করে শিখিয়েছে। দুই বছর আগেও দেশের স্বাস্থ্যখাতের অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির ব্যাপকতা আমরা টের পাইনি। ভুক্তভোগী হওয়ায় সাধারণ মানুষ এখন জানছে, কিছু ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষও এখন ব্যবস্থা নিচ্ছে।
সভাপতির বক্তব্যে ফারুখ ফয়সল বলেন, বাংলাদেশে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক রিপোর্টিংয়ে সাংবাদিকদের সচেতনতা ও সক্ষমতার ঘাটতি আছে। নিজেদের সুরক্ষিত রেখে কীভাবে মহামারির সময়ে রিপোর্ট করতে হয় তা অনেকের জানা ছিল না। এসব বিষয়ে সাংবাদিকদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
এসআর/এসকেডি