ছাত্রীর মৃত্যুর পর দেওয়া হলো নিরাপত্তা দেয়াল
চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে নালায় পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী মৃত্যুর পরে উন্মুক্ত ফুটপাতের খোলা অংশে ইটের নিরাপত্তা দেয়াল দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে দেয়ালটি নির্মাণ করা হয়।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের দাবি, তাদের অনুরোধে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) এ দেয়াল নির্মাণ করেছে। আর চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) দাবি, সিটি করপোরেশনই খালের মুখে দেয়াল নির্মাণ করেছে।
বিজ্ঞাপন
উল্লেখ, গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাদামতলী এলাকায় নালায় পড়ে যান সেহরিন মাহমুদ সাদিয়া নামে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী। পরে রাত ২টা ৫০ মিনিটে তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
জানা গেছে, সাদিয়া আগ্রাবাদ এলাকা থেকে চশমা কিনে মামা ও নানার সঙ্গে বাসার দিকে যাচ্ছিলেন। ফুটপাতের একপাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় পা পিছলে নালায় পড়ে যান তিনি। সাদিয়া পড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার মামা ও নানা নালায় ঝাঁপ দেন। কিন্তু স্রোতের কারণে তাকে উদ্ধার করতে পারেননি তারা। পরে স্থানীয়দের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার অভিযান শুরু করে। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা পরে তার মরদেহ উদ্ধার করে। এ নিয়ে সাদিয়ার সহপাঠী ও এলাকাবাসী গত মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ করেন।
বিজ্ঞাপন
জানা যায়, আগ্রাবাদ এলাকায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ চলছে। আগ্রাবাদ মোড় থেকে রবি অফিসের সামনে এবং মাইজারগেট পর্যন্ত কোনো সড়কবাতি ছিল না। সন্ধ্যার পর এ এলাকা অন্ধকার হয়ে থাকে। এই ঘটনার পরে ওই স্থানে সড়ক বাতি দেওয়া হয়েছে।
নালায় পড়ে ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনার জন্য সিডিএকে দায়ী করছে সিটি করপোরেশন। তবে সিডিএ বলছে দুর্ঘটনাস্থল তাদের কাজের আওতাভুক্ত নয়। এটি সিটি করপোরেশনের নালা।
নালার পাশে নিরাপত্তা দেয়াল নির্মাণ সম্পর্কে সিসিসির নির্বাহী প্রকৌশলী বিপ্লব দাশ বলেন, আমরা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছিলাম দেয়াল করে দেওয়ার জন্য। তারা এটি করে দিয়েছে। দুর্ঘটনার পর বাঁশ ও কাঠ দিয়ে অস্থায়ী বেষ্টনী নির্মাণ করা হয়েছিল।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের পরিচালক নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান বলেন, সিডির পক্ষ থেকে কোনো দেয়াল নির্মাণ করা হয়নি। সিটি করপোরেশন নিজেরাই মনে হয় এটি নির্মাণ করেছে।
এর আগে গত ২৫ আগস্ট ভারী বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলে মুরাদপুর এলাকায় নালায় পড়ে তলিয়ে যান সালেহ আহমদ নামে এক সবজি ব্যবসায়ী। যার হদিস এখনো মেলেনি। চলতি বছরের ৩০ জুনও ষোলোশহর চশমা হিল এলাকায় খালে পড়ে যায় একটি অটোরিকশা। স্রোত থাকায় খালে তলিয়ে মারা যান চালক সুলতান (৩৫) ও যাত্রী খাদিজা বেগম (৬৫)।
কেএম/ এসকেডি