শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়মিত যাতায়াতের জন্য সাইকেল ব্যবহারে উৎসাহিত করাসহ ৬ দফা সুপারিশ জানিয়েছে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)।

শনিবার (২ অক্টোবর) অনলাইনে পবা আয়োজিত 'সাইক্লিং প্রসারে বিদ্যমান আইন ও নীতিমালার পর্যালোচনা ও আধুনিকায়ন' শীর্ষক এক আলোচনা সভা থেকে এ সুপারিশ জানানো হয়।

তাদের অন্যান্য দাবিগুলো হলো- বাস্তবায়িত সাইকেল লেনগুলো দখলমুক্ত করে চলাচল উপযোগী করতে হবে; হাইওয়েতে/প্রয়োজনীয় সব জায়গায় সাইকেল লেন বাস্তবায়ন করতে হবে; অফিস, আদালত, মার্কেট এবং বিভিন্ন ট্যুরিস্ট প্লেস সাইকেলবান্ধব করতে হবে; সাইকেল চলাচলে/প্রসারে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী নীতিমালা/আইন সংশোধন করতে হবে এবং সাইক্লিংয়ের সুবিধাগুলো প্রচার করে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।

আলোচনায় ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারী বলেন, সাইকেল হলো পরিবেশবান্ধব, সাশ্রয়ী এবং অল্প জায়গায় রাখা যায় এমন একটি জনপ্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ বাহন। সরকারের পক্ষ থেকে যদি জনসাধারণকে সাইক্লিংয়ের উপকারিতা ও ব্যবহার সম্পর্কে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হয়, তাহলে এর গুরুত্ব আরো বাড়বে। সাইকেল রুট/নেটওয়ার্ক নিরাপদ ও নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করতে হবে। তরুণ প্রজন্মকে সাইকেল চালানোয় উদ্বুদ্ধ করতে হবে। ট্যাক্স মওকুফ করতে হবে সাইকেলের ক্ষেত্রে। সাইকেল চালানোর সুবিধার ব্যাপারে পরিবেশ ও স্বাস্থ্য বিষয়ে বিবেচনায় আনা সম্ভব হলে স্বাস্থ্যখাতে ভতুর্কি পরিমাণ কমে আসবে। 

গবেষক ও স্থপতি জাকারিয়া ইবনে রাজ্জাক রাসেল বলেন, সাইকেল চলাচলে নীতিমালা ও আইন আছে। কিন্তু সেটা যদি বাস্তবায়ন না হয়, তাহলে সেই আইন ও নীতিমালা বাস্তবে কোনো কাজে আসে না। এজন্য প্রয়োজনে আইন ও নীতিমালা সংশোধন করতে হবে এবং যথাযথভাবে প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। 
 
বিডি ক্লিক এর সাধারণ সম্পাদক আরিফ আহমেদ বলেন, হাইওয়েতে সাইকেল লেনের বাস্তবায়ন করতে হবে। সাইকেল চলাচলে আইনগুলো যেন সময়োপযোগী হয় সেই বিষয়ে জোর দিতে হবে। 
 
ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর প্রকল্প কর্মকতা সামিউল হাসান সজিব বলেন, সঠিক জায়গায় রুট নির্ধারণ করতে না পারায় সাইকেল লেনগুলো দখল হয়ে আছে। তাই সাইকেল লেনগুলো কোনো বাস্তবে কাজে লাগানো যাচ্ছে না। এসব ত্রুটির সংশোধন হওয়া দরকার। 
 
পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান বলেন, আমাদের সামগ্রিক ইকো সিস্টেম বজায় রাখতে আইন ও নীতিমালা খুবই গুরুত্বর্পূণ। শুধুমাত্র ব্যায়াম বা ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণের জন্য নয়, প্রাত্যহিক কাজ-কর্ম করার জন্য সাইকেলের ব্যবহারকে জনপ্রিয় ও সহজ করতে হবে। অফিস, আদালত, মার্কেটে চলাচলে সাইকেলবান্ধব করতে সাইকেল পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে পোশাক পরিবর্তন করার সুযোগ রাখতে হবে। উচ্চপদস্থ কর্মকতার বাহিরে অফিসের কাজে গাড়ির পরিবর্তে সাইকেল ব্যবহার করার সুবিধা সম্বলিত নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।

আলোচনায় আরও যুক্ত ছিলেন আইনজীবী ও পবার সম্পাদক সৈয়দ মাহবুবুল আলম তাহিন, গ্রিনফোর্স এর সমন্বয়ক মেসবাহ সুমন, বিডি ট্যুারিস্ট সাইক্লিংয়ের সমন্বয়ক রোজিনা আক্তার প্রমুখ।

এমএইচএন/জেডএস