রাজধানীর মিরপুরের পল্লবী থেকে তিন কলেজছাত্রী নিখোঁজের ঘটনায় চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার রাত (২ অক্টোবর) ৯টার দিকে পল্লবী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি দায়ের করেন নিখোঁজ এক শিক্ষার্থীর বড় বোন।

মামলার আসামিরা হলেন : মো. তরিকুল্লাহ (১৯), মো. রকিবুল্লাহ (২০), জিনিয়া ওরফে টিকটক জিনিয়া রোজ (১৮) ও শরফুদ্দিন আহম্মেদ অয়ন (১৮)। এছাড়া আরও অজ্ঞাতনামা চারজনকে আসামি করা হয়েছে।

নিখোঁজ তিন শিক্ষার্থীরা হলেন কাজী দিলখুশ জান্নাত নিসা, কানিজ ফাতেমা ও স্নেহা আক্তার। তারা প্রত্যেকে এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। এর মধ্যে দিলখুশ জান্নাত নিসা মিরপুর গার্লস আইডিয়াল ল্যাবরেটরি ইনস্টিটিউট, স্নেহা পল্লবী ডিগ্রি কলেজ ও কানিজ ফাতেমা দুয়ারি পাড়া কলেজের শিক্ষার্থী। তারা একে অপরের বান্ধবী বলেও পরিবার সূত্রে জানা গেছে।

শনিবার (২ অক্টোবর) রাতে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন পল্লবী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. পারভেজ ইসলাম। তিনি বলেন, নিখোঁজ দিলখুশ জান্নাত নিসার বড় বোন অ্যাডভোকেট কাজী রওশন দিল আফরোজ বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে তিনজনকে গতকাল ও একজনকে আজ (শনিবার) আটক করা হয়েছিল। মামলা দায়েরের পর ওই মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) পল্লবীর ১১ নম্বর প্যারিস রোডের সি -ব্লক ১৮ নম্বর লাইন এলাকা থেকে ওই তিন শিক্ষার্থী নিখোঁজ হন।

এ বিষয়ে নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করে বলা হয়, একটি মানব-পাচারকারী চক্রের সদস্যরা ওই তিন শিক্ষার্থীকে বিদেশে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে বাসা থেকে বের করে। এরপর থেকেই তারা নিখোঁজ রয়েছে। বাসা থেকে বের হওয়ার সময় ওই তিন শিক্ষার্থী নগদ টাকা ,স্বর্ণালংকার ,স্কুল সার্টিফিকেট ও মূল্যবান সামগ্রী সঙ্গে করে নিয়ে গেছে।

গ্রেফতার হওয়া মো. তরিকুল্লাহ, মো. রকিবুল্লাহ , জিনিয়া ওরফে টিকটক জিনিয়া রোজ ও শরফুদ্দিন আহম্মেদ অয়ন (১৮) মানব-পাচারকারী চক্রটির সঙ্গে জড়িত বলেও ওই তিন শিক্ষার্থীর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়। 

এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট কাজী রওশন দিল আফরোজ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার বোনসহ তার দুই বান্ধবী এখনো বাংলাদেশে আছে বলে আমরা মনে করছি। পুলিশের হেফাজতে থাকা রকিবুল ও তার সহযোগীরা প্রলোভন দেখিয়ে তাদের পাচার করার জন্য বাসা থেকে বের করে নিয়ে গেছে। তাদের সঠিকভাবে জিজ্ঞাসা করলেই নিখোঁজদের সন্ধান পাওয়া যাবে। 

এমএসি/এসকেডি