ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সবচেয়ে আকর্ষণীয় আয়োজন বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড। এবার ‘নগদ-ডিআরইউ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড ২০২১’-এর ঘোষণা দিয়েছে ডিআরইউ। এবারের আয়োজনে ডিআরইউ-এর অংশীদার ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’।

বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘নগদ’ এবং ডিআরইউ যৌথ আয়োজনের মাধ্যমে এই ঘোষণা দেয়।

এ বছর প্রিন্ট-অনলাইন, টেলিভিশিন ও রেডিও দুই ভাগে ২২টি ক্যাটাগরিতে সেরা রিপোর্টের জন্য পুরস্কার দেওয়া হবে। দেশের দশ জন সিনিয়র সম্পাদক জমা পড়া রিপোর্টের মধ্য থেকে যাচাই-বাছাই করে সেরা রিপোর্ট নির্বাচন করবেন। পরে চলতি মাসের শেষ দিকে জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজয়ীদের হাতে সম্মাননা ও পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।

ঘোষণা অনুসারে সংগঠনের সদস্যদের গত ১ অক্টোবর ২০২০ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১-এর মধ্যে তাদের প্রকাশিত ও প্রচারিত প্রতিবেদন অ্যাওয়ার্ডে মনোনয়নের জন্য জমা দিতে হবে। রিপোর্ট জমা দেওয়ার শেষ সময় ৬ অক্টোবর থেকে বাড়িয়ে ৮ অক্টোবর রাত আটটা পর্যন্ত করা হয়েছে। এরপর কোনো অবস্থায় আর সময় বাড়ানো হবে না বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন ডিআরইউ-এর সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান। ‘নগদ’-এর নির্বাহী পরিচালক নিয়াজ মোর্শেদ এলিট এই আয়োজনে ‘নগদ’-এর যুক্ত হওয়ার বিষয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করেন।

এ সময় ডিআরইউ-এর সভাপতি মুরসালিন নোমানী, ‘নগদ’-ডিআরইউ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড কমিটির আহ্বায়ক মাইনুল হাসান সোহেলসহ সংগঠনটির অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

‘নগদ’-ডিআরইউ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড ২০২১-এ সম্পৃক্ত হওয়া বিষয়ে ‘নগদ’-এর নির্বাহী পরিচালক নিয়াজ মোর্শেদ এলিট বলেন, ডিআরইউ-এর মতো সংগঠনের সঙ্গে মিলে এক বছরের সেরা রিপোর্ট নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকা আমাদের জন্য একটি বড় সুযোগ। আমরা এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইনি। আমরা সবসময়ই দায়িত্বশীল ও জনকল্যাণকর সাংবাদিকতার পক্ষে। ভবিষ্যতেও আমাদের এই অবস্থান থাকবে। আশা করি আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা দেশের সাংবাদিকতার উন্নয়নে কিছুটা হলেও ভূমিকা রাখবে।

নানান উদ্ভাবন দিয়ে সাড়া জাগানো মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’ ইতিমধ্যে ডিআরইউ-এর সব ধরনের পেমেন্ট পার্টনার হিসেবে কাজ করছে। একই অনুষ্ঠানে ‘নগদ’ পেমেন্টের মাধ্যমে ডিআরইউ-এর বার্ষিক সদস্য চাঁদা পরিশোধ করে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ডিআরইউ-এর সভাপতি মুরসালিন নোমানী এবং সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান।

২০১৯ সালের ২৬ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের পর মাত্র আড়াই বছরের মধ্যে ‘নগদ’ সাড়ে ৫ কোটি গ্রাহক পেয়েছে। একই সঙ্গে দৈনিক গড় লেনদেন পৌঁছে গেছে ৭৫০ কোটি টাকায়।

এসআই/আরএম/জেডএস