ই-কমার্স সাইট আনন্দের বাজারের সিইও এ এইচ খন্দকার মিঠু

সম্প্রতি গ্রাহকের টাকা নিয়ে পণ্য না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ই-কমার্স সাইট ‘আনন্দের বাজার’-এর বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ মাথায় নিয়েই ফেসবুক লাইভে আসেন প্রতিষ্ঠানটির ক্ষুব্ধ ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এ এইচ খন্দকার মিঠু।

এ সময় তিনি ই-কমার্স ব্যবসায়ের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য সাংবাদিক, পুলিশ ও ‘লোভী’ ভোক্তাদের দোষারোপ করেন।

সিইও মিঠু গত তিন দিনে তিন বার লাইভে আসেন। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের অনলাইনে ‘আনন্দের বাজারের সিইও সাড়ে ৩শ কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা’ শিরোনামে একটি নিউজ করে। এই নিউজের রিপোর্টারকে উদ্দেশ্য করে মিঠু লাইভে বলেন, ‘ওকে যদি আমি পেতাম তাহলে দুই গালে দুই থাপ্পড় দিতাম। তুই একটা ... বাচ্চা। তোর মতো ইয়েলো জার্নালিস্টের কারণে আজ ই-কমার্সের এই অবস্থা। তুই কীভাবে বললি আমি সাড়ে ৩শ কোটি টাকা নিয়েছি। সাড়ে ৩শ কোটি টাকা কী তুই জানিস?’

তিনি আনন্দের বাজারের অফিসে গিয়ে অডিট করে সঠিক তথ্য বের করার নির্দেশনা দেন। এছাড়াও একজন আইনজীবীর পূর্ণ নাম উল্লেখ না করে তার বিরুদ্ধে আনন্দের বাজার থেকে ২০ লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেন মিঠু।

তিনি বলেন, ‘ইউনুস, তুই ই-কমার্স নিয়ে রিট দিস বেয়াদব? তোর মতো লোকের কারণে আজ ই-কমার্সের এই অবস্থা। তোরে দেখলে মনে হয় না ৫০০ টাকার কাপড় পরিস। তোরে আমি ২০ লাখ টাকা ক্যাশ দিয়েছি।’

এছাড়াও পুলিশের বিরুদ্ধে ১২ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ এনে বিরক্ত মিঠু বলেন, ‘ওইদিন আমার পুলিশ ভাই এসেছিল, আমি ১২ লাখ টাকা ক্যাশ দিয়েছি। কই কেউ আমার পক্ষে কথা বলল না।’

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর বিরক্ত মিঠু বলেন, ‘আজ আমরা ই-কমার্স কোম্পানি করে ভুল করেছি। আজকে কথায় কথায় ডিবি আসে, কথায় কথায় এনএসআই আসে। কেন তারা আসবে? কেন তারা ফোন দেবে? আমি কি চুরি করেছি? আমি ভ্যাট দিয়ে ব্যবসা করেছি।’

ই-কমার্সের কাস্টমারদের ‘লোভী’ উল্লেখ করে কাস্টমারদের উদ্দেশে বলেন, ‘২০ শতাংশ কাস্টমারের কারণে আজকে ই-কমার্সের এই অবস্থা। আপনারা অতিউৎসাহী, আপনাদের কারণে রাসেল (ইভ্যালির সিইও), রিপন (কিউকমের সিইও) গ্রেফতার হয়েছে।’

‘আপনারা রক্ত মাংস হাড্ডি যা থাকবে, খাওয়ার পর যা থাকবে তাও নেবেন। আপনারা কেন ডিসকাউন্টেড প্রোডাক্ট নেন? কেন মোটরসাইকেল, ফ্রিজ নেন ডিসকাউন্টে? কেন ডিসকাউন্ট ছাড়া মাল কেনে না? কাস্টমাররা লোভী। তাদের কারণেই আজ এই অবস্থা।’ 

তিন দিনে প্রায় ৩ ঘণ্টার লাইভ করেন মিঠু। লাইভে এক পর্যায়ে তিনি কোনো কাস্টমারকে পণ্য বা টাকা না দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে আনন্দের বাজারের কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দেন। পরবর্তীতে আবার টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দেন। 

এআর/এইচকে