পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আগামী ২০ অক্টোবর আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের আয়োজনে জশনে জুলুস অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। তিনি জানান, এ জুলুসের নেতৃত্ব দেবেন দরবারে আলিয়া কাদেরিয়া সিরিকোট শরীফের সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ।  

তিনি আরও বলেন, ২০ অক্টোবর (বুধবার) সকাল ৮টায় চট্টগ্রাম ষোলশহর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদরাসা সংলগ্ন আলমগীর খানকা হতে শুরু হবে এ জুলুস। এরপর বিবিরহাট, মুরাদপুর, মির্জারপুল, কাতালগঞ্জ হয়ে অলিখা মসজিদ, চকবাজার, প্যারেড ময়দানের উত্তর পাশ হয়ে প্যারেড ময়দানের পূর্ব পাশ, চন্দনপুরা, সিরাজুদ্দৌল্লাহ রোড, দিদার মার্কেট, দেওয়ান বাজার, আন্দরকিল্লা, মোমিন রোড, কদম মোমারক, চেরাগী পাহাড়, প্রেস ক্লাব, জামালখান মোড় হয়ে কাজির দেউড়ি মোড়, আলমাস হয়ে ওয়াসার মোড়, জিইসি মোড়, ২ নম্বর গেইট হয়ে পুনরায় মুরাদপুর, বিবিরহাট প্রদক্ষিণ করে জানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদরাসা প্রাঙ্গণে এসে শেষ হবে। এরপর জামেয়া ময়দানে মাহফিল শেষে নামাজে যোহর ও দোয়া অনুষ্ঠিত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আনজুমান নেতারা বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও জুলুসে লাখো মানুষের সমাগম হবে। জুলুসে অংশগ্রহণকারী সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলারও আহ্বান জানান তারা। এছাড়া চট্টগ্রামের বাইরের জেলাগুলো থেকে জুলুসে অংশগ্রহণ নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ নিজ নিজ জেলা সদরে ২০ অক্টোবর জুলুস আয়োজন করবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ আল্লামা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ অছিয়র রহমান, গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান পেয়ার মুহাম্মদ, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার, মাওলানা আবদুল্লাহ, সাবের আহমদ প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ১৯৭৪ সালে নগরের বলুয়ার দীঘি খানকাহ থেকে আল্লামা তৈয়্যব শাহ (রহ.) এ জুলুসের সূচনা করেন। এরপর থেকে আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় প্রতিবছর ১২ রবিউল আউয়াল এ জুলুস পালন করা হয়।  

কেএম/এসকেডি