পরিচ্ছন্ন কর্মীরা যদি ময়লা-আবর্জনা সঠিকভাবে সংগ্রহ করে তাহলে চট্টগ্রাম শহরে কোনো আবর্জনা থাকার কথা নয় বলে উল্লেখ করেছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, ড্রেন বা খালে ময়লা-আবর্জনা, পলিথিন ফেলা বন্ধ করতে হবে। মানুষকে সচেতন করার পরও যত্রতত্র বর্জ্য ফেললে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে জরিমানা করা হবে।

বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে অনলাইনে আয়োজিত এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রাম শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে যেসব কর্মীরা রয়েছেন, তারা ঠিকমত দায়িত্ব পালন করছে কিনা তা ভালোভাবে মনিটরিং করতে হবে। পরিচ্ছন্ন কর্মী নিয়োগ দিয়ে শুধু কাগজে কলমে রাখলে হবে না, তাদের মাঠে নামিয়ে কাজ করাতে হবে। আর যারা মনিটরিং করবে, তাদেরও জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।

একাধিক প্রকল্প নিয়ে টাকা খরচ করে চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন না হওয়াটা অত্যন্ত দুঃখজনক বলেও মন্তব্য করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন করতে সিটি করপোরেশনকে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে। করপোরেশনের মেয়র হচ্ছেন নগর পিতা। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম ওয়াসা, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে সম্পৃক্ত করে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করলে শুধু জলাবদ্ধতা নয়, যেকোনো সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।

জলাবদ্ধতা নিরসনে বিদ্যমান যেসব প্রকল্প রয়েছে, সেগুলো যথা সময়ে বাস্তবায়ন করতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে একে অপরকে দোষারোপ না করে যথাযথ দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানান।

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রাম ওয়াসার মাস্টারপ্ল্যান এবং জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পগুলোর অবকাঠামোর ডিজাইনের কোনো ভুল থাকলে তা সংশোধন করতে হবে।

তিনি বলেন, প্রকৌশলী বা নগর পরিকল্পনাবিদসহ সংশ্লিষ্ট যারা আছেন, তারা ডিজাইন তৈরি করবেন। কিন্তু সেটি বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ কিনা, তা অবশ্যই বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষকে দেখতে হবে।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগ ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এবং চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টরা এ সময় অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন।

এসএইচআর/এমএইচএস