চট্টগ্রামের মোহাম্মদপুরে নিজ ঘর থেকে মা ও দুই সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) সকালে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।

পাঁচলাইশ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কবির হোসেন ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ মা সুমিতা খাতুন, মেয়ে মুন (৭) ও ছেলে সানের (৩) মরদেহ উদ্ধার করেছে।

পাঁচলাইশ জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) শহিদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, পুলিশ ৯৯৯ ফোন পেয়ে দরজা ভেঙে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে। এরমধ্যে দুইজনের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। বাকি একজনের বিছানায় পড়েছিল।

তিনি আরও বলেন, সুমিতা খাতুনের স্বামী মুরাদপুর মোড়ে হারবালের বিভিন্ন ধরনের ওষুধ বিক্রি করেন। ঘটনার সময় তিনি বাসায় ছিলেন না।

স্বামী বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে বাসায় এসে তিন প্যাকেট বিরিয়ানি দিয়ে যান। এ সময় তার স্ত্রী সুমিতা খানকে বলেন, টাকায় না থাকায় বাজার করতে পারেননি। এরপর রাত নয়টায় দিকে স্বামী বাসায় এসে দরজা বন্ধ পান। পরে বাহির থেকে ডাকাডাকি করে চলে যান।

তিনি আরও বলেন, সুমিতা খানের স্বামী আবার রাত ৩টার দিকে বাসায় এসে ডাকাডাকি করেন। তখনও কেউ দরজা খুলেননি। এরপর তিনি বাসার দারোয়ানকে বিষয়টি জানান ও ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করেন।

পরে পুলিশ, বাড়ির দারোয়ান ও স্থানীয়রা মিলে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। এরপর আরেকটি রুমের দরজা ভেঙে তিনজনের মরদেহ দেখতে পান।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, সিআইডি ঘটনাস্থলে আছে। আমরা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করছি। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) ভোরে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জের সোনাপাহাড় এলাকায় গিয়ে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে। তারা হলেন- মুদি ব্যবসায়ী মোস্তফা সওদাগর, তার স্ত্রী জেসমিন ও ছেলে আহমদ।

পুলিশের দেওয়া তথ্য মতে, তাদের গলায় দাগ এবং শরীরে ধারাল অস্ত্র দিয়ে একাধিক কোপানোর চিহ্ন ছিল। মরদেহগুলো বীভৎস অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যায় নিহত মোস্তফা সওদাগরের মেয়ে জুলেখা বেগম বাদী হয়ে ‘অজ্ঞাতনামা’ আসামিদের নামে একটি মামলা দায়ের করেন।

কেএম/এমএইচএস