দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে দেশব্যপী সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপতৎপরতার তীব্র নিন্দা, ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি (৬৭টি নারী, মানবাধিকার ও উন্নয়ন সংগঠনের প্ল্যাটফর্ম)। তারা মনে করে, সহিংসতা প্রতিরোধে ব্যর্থতা, প্রশাসনের দুর্বলতা ও অক্ষমতাকেই প্রকাশ করে।

রোববার (১৭ অক্টোবর) সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির পক্ষে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত মঙ্গলবার রাতে কুমিল্লায় অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক একটি ঘটনা ঘটানো হয়েছে। যা আমাদের স্তম্ভিত করেছে। সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির পক্ষ থেকে আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি। 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিগত বছরগুলো লক্ষ্য করলে দেখতে পাচ্ছি যে প্রতিবছরই শারদীয় দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে একই ধরনের ঘটনা ঘটেই চলছে। যা বাংলাদেশের মতো একটি স্বাধীন, গণত্রান্ত্রিক ও ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে অসাম্প্রদায়িক দেশের জন্য খুবই লজ্জাজনক। আমাদের আইনশৃক্ষলা রক্ষাকারী বাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন, এলাকার জনপ্রতিনিধিদের যথাযথ উদ্যোগ ও যথেষ্ঠ পূর্বপ্রস্তুতি থাকা সত্বেও এ ধরনের ঘটনা সাম্প্রদায়িক সহিংসতা প্রতিরোধে তাদের ব্যর্থতা, দুর্বলতা ও অক্ষমতাকেই প্রকাশ করে। 

আমরা চাই, দ্রুত এসব ষড়যন্ত্রকারী গোষ্ঠীকে কঠোর হস্তে দমন করা হোক। সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি দ্রুত, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে এই ঘটনাগুলোর সঙ্গে জড়িত দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাচ্ছে। 

একইসঙ্গে যে কোন ধরনের সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনার পুনরাবৃত্তিরোধে রাষ্ট্র, সরকার, এলাকার জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট প্রসাশনকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সতর্কতামূলক জরুরি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছে।

৬৭টি সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি হচ্ছে, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, আইন ও সালিশ কেন্দ্র, স্টেপস টুয়াডর্স ডেভেলপমেন্ট, বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ, ব্র্যাক, উইমেন ফর উইমেন, কেয়ার বাংলাদেশ, কর্মজীবী নারী, জাতীয় শ্রমিক জোট, কনসার্ন ওয়ার্ল্ড ওয়াইড, আইইডি, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি, নিজেরা করি, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, ঢাকা ওয়াইডব্লিউসিএ, পল্লী দারিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশন, অক্সফাম জিবি, অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ, দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ, আওয়াজ ফাউন্ডেশন, প্রিপ ট্রাস্ট, এডিডি বাংলাদেশ, ওয়ার্ল্ড ভিশন, গণসাক্ষরতা অভিযান, নাগরিক উদ্যোগ, প্রতিবন্ধী নারীদের জাতীয় পরিষদ, সারি, বাউশি, পাক্ষিক অনন্যা, এসিডি রাজশাহী, ব্রতী, নারী মৈত্রী, ওয়েভ ফাউন্ডেশন, ইক্যুয়িটি অ্যান্ড জাস্টিস ওয়ার্কিং গ্রুপ, বাংলাদেশ নারীসাংবাদিক কেন্দ্র, নারী উদ্যোগ কেন্দ্র, জাতীয় নারী শ্রমিক জোট, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, জাতীয় নারী জোট, শক্তি ফাউন্ডেশন, বিপিডব্লিউ ক্লাব, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, এসিড সারভাইভার্স ফাউন্ডেশন, নারী মুক্তি সংসদ, সেবা নারী ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র, ডিআরআরএ, জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরাম, হিল উইমেন্স ফেডারেশন, আমরাইপারি পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ জোট, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, বাংলাদেশ ফেডারেশন অব ইউনিভার্সিটিউইমেন, সরেপটেমিস্ট ইন্টারন্যাশন্যাল ক্লাব, আরডিআরএস, বিল্স, এডাব, এসডিএস জয়পুরহাট, এফপিএবি, ওয়াইডাব্লিউসিএ অব বাংলাদেশ, দলিত নারী ফোরাম, দীপ্ত এ ফাউন্ডেশন ফর ডেভেলপমেন্ট, অপরাজেয় বাংলাদেশ, ব্লাস্ট, টার্নিং পয়েন্ট, সেন্টার ফর মেন অ্যান্ড মেসকুলিনিটিজ স্টাডিস, সেভ দ্য চিলড্রেন, অভিযান, আদিবাসী নারী নেটওয়ার্ক।

জেইউ/এসএম