রেলের সেবা বাড়াতে সারা দেশে আরও ৫৫টি নতুন স্টেশন নির্মাণের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী।

সোমবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানিয়েছেন। চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ফজলে করিম বলেন, চট্টগ্রামের রেল লাইন সম্প্রসারণ করে চুয়েট হয়ে কাপ্তাই নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াও চলমান রয়েছে। পাশাপাশি, পার্বত্য খাগড়াছড়ি এবং রাঙ্গামাটিতেও যাতে রেল লাইনকে সম্প্রসারণ করা যায় সে পরিকল্পনা করছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। ঢাকার আদলে চট্টগ্রামের কালুরঘাট থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত মেট্রোরেল করা যায় কিনা তাও যাচাই করা হচ্ছে। 

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিকভাবে চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আলাদা কাউন্টার করার নির্দেশ দেন ফজলে করিম। এসময় চট্টগ্রামের সেন্ট্রাল রেলওয়ে বিল্ডিং-সিআরবি এলাকায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত কাঠের বাংলোতে জাদুঘর প্রতিষ্ঠায় এরইমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

চট্টগ্রামের বিভিন্ন সংকট নিয়ে সাংবাদিকদের জোরালো ভূমিকার আহ্বান জানিয়ে অনুষ্ঠানে ফজলে করিম বলেন, চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে পিসিআর মেশিন না থাকায় বিদেশগামী যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়াই কেবল চট্টগ্রাম বিমানবন্দর দিয়ে সাধারণ মানুষ ভিজিট ভিসায় মধ্যপ্রাচ্যে যেতে পারছে না। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এসব বলার মতো কেউ নেই। সাংবাদিকদের এক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করতে হবে।

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, চট্টগ্রামের রাউজান একসময় আতঙ্কের জনপদ হিসেবে পরিচিত থাকলেও সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের জন্য শান্তির ঠিকানা বানিয়েছেন সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী। তার একক নেতৃত্বে এলাকার রাস্তাঘাট, স্কুল কলেজ থেকে শুরু করে সার্বিক জীবনমানে পরিবর্তন এসেছে।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সভাপতি আলী আব্বাস বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলার পরও তার দলের এমপিরা পূজামণ্ডপের নিরাপত্তার দিকে নজর দিতে পারেননি। তারা দায়িত্ব পালন করলে পাথরঘাটা, জে এম সেন হলে হামলার ঘটনা ঘটতো না। তবে একমাত্র ব্যতিক্রম রাউজান।

সিইউজে সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম বলেন, সারাদেশে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় যখন সকলের ঐক্য দরকার তখন একটি দুষ্টচক্র মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ সংগঠনগুলোতেও বিভাজনের চেষ্টা চালিয়ে ফায়দা লুঠার চেষ্টা করছে। এসব চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে সকলকে সজাগ থাকতে হবে।
 
অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিকদের সিইউজের সম্মাননা স্মারক ও শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেন প্রধান অতিথি। 

সিইউজে সভাপতি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সিনিয়র সহসভাপতি রতন কান্তি দেবাশীষ, সহসভাপতি অনিন্দ্য টিটো বক্তব্য রাখেন। 

সিইউজের ছয় বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক সাবের আহমদ আসগারী, নাসির উদ্দিন চৌধুরী, নওশের আলী খান, পঙ্কজ দস্তিদার, মনজুরুল আলম মঞ্জু ও দেবপ্রসাদ দাস দেবুকে সংবর্ধনা দিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

কেএম/এসএম