বিক্ষোভ সমাবেশ

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও সমাজবিজ্ঞানী ড. অনুপম সেন বলেছেন, দেশের অনেক উন্নয়ন হয়েছে, কিন্তু মনোজগতের পরিবর্তন ঘটেনি। রাষ্ট্রের সংস্কৃতির পরিবর্তন হয়নি। ধর্মের নামে উপমহাদেশের সমাজের মনে অন্ধকার বিরাজ করছে। সংস্কৃতি চর্চার মধ্য দিয়ে মনোজগতের পরিবর্তন ঘটাতে হবে। 

সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর চেরাগী পাহাড় চত্বরে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলা, পূজামণ্ডপ ও প্রতিমা ভাঙচুরের প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

‘সাম্প্রদায়িকতা নিপাত যাক- মানবতা মুক্তি পাক’ এ স্লোগানে সমাবেশের আয়োজন করে সর্বস্তরের সাংস্কৃতিক কর্মী ও সচেতন নাগরিক সমাজ, চট্টগ্রাম। 

অনুপম সেন বলেন, ১৯৮৮ সালে স্বৈরাচার এরশাদ যে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা করেছিলেন, তা বাদ দিতে হবে। বাংলাদেশের সংবিধানকে একটি সত্যিকারের অসাম্প্রদায়িক সংবিধান হতে হবে। যদি রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকে তবে অন্যরা দ্বিতীয় শ্রেণির। যদি বলেন সবাই নাগরিক তবে তো রাষ্ট্রধর্ম থাকতে পারে না। কোনো উন্নত রাষ্ট্রে তা নেই। রাষ্ট্রধর্ম প্রত্যাহার করুন। 

একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য এ শিক্ষাবিদ বলেন, প্রতিদিন হামলা হচ্ছে। রোববারও রংপুরে হামলা চালানো হয়েছে। প্রশাসন কী করছে? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তদন্ত চলছে। এতদিন কেন তদন্ত চলবে। অবিলম্বে তদন্তের খবর দিন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেখান কাদের ধরা হয়েছে। অপরাধীদের আইনের আওতায় আনুন। 

সমাবেশে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত বলেন, আজকের বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ নয়। ২০০৮ সালের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যে দল সরকার গঠন করে আজ সেই আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। কিন্তু ক্ষমতায় থাকা দলটি বঙ্গবন্ধুর দল নয়।  

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন, মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ডা. মাহফুজুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউনুচ, কমিউনিস্ট পার্টি চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক অশোক সাহা, ওয়ার্কার্স পার্টি চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক শরীফ চৌহান, জাসদ নেতা জসিম উদ্দিন বাবুল প্রমুখ। 

কেএম/আরএইচ