উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষদের জীবনমান উন্নয়ন ও উপকূলজুড়ে টেকসই ব্লক বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছে সেইভ ফিউচার বাংলাদেশ।

শুক্রবার (২২ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।

সরকারের কাছে সংগঠনটির অন্যান্য দাবিগুলো হচ্ছে— অভিযোজন প্রক্রিয়া বাড়াতে হবে; জলবায়ু শরণার্থীদের টেকসই পুনর্বাসন করতে হবে; সুপেয় পানির স্থায়ী সমাধান করতে হবে; দেশের পাহাড়-টিলা, বনাঞ্চল, গাছ-পালা, বন্যপ্রাণী এবং নদী সর্বোপরি পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষা করা ও সংরক্ষণ করতে হবে; প্লাস্টিক দূষণ রোধ এবং বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। 

বিশ্ব নেতাদের কাছে তাদের দাবি, প্যারিস এগ্রিমেন্ট বাস্তবায়ন করতে হবে; বৈশ্বিক উষ্ণতা ১.৫ ডিগ্রিতে নামিয়ে আনতে হবে; কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে; জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণ বুঝিয়ে দিতে হবে।

মানববন্ধনে সেইভ ফিউচার বাংলাদেশের প্রধান সমন্বয়ক নয়ন সরকার বলেন, আজ আমার জীবন এবং ভবিষ্যৎ ঝুঁকিতে রয়েছে। বর্তমান বাংলাদেশ ও বিশ্বের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জীবন এবং ভবিষ্যৎ হুমকিতে ফেলছে জলবায়ু পরিবর্তন। আমাদের উপকূলীয় অঞ্চলের বসবাসরত ভাইয়েরা নিয়মিত ভুগছে। বন্যা, ঘূর্ণিঝড় কিংবা নদী ভাঙনে তারা সহায়সম্বল হাড়িয়ে ফেলে উদ্বাস্তু হয়ে পড়ছে। খাওয়ার জন্য সুপেয় পানি পাচ্ছে না। সবাই স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে। আসন্ন কপ-২৬-এ বিশ্বনেতাদের থেকে আমরা আর শূন্য প্রতিশ্রুতি চাই না, সিস্টেম উপড়ে ফেলুন। আমরা জলবায়ুর সুবিচার চাই। আমরা জলবায়ু ক্ষতিপূরণ চাই। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানাই এবং বৈশ্বিক উষ্ণতা ১.৫ ডিগ্রিতে রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানাই। 

জলবায়ু ও পরিবেশ আন্দোলন কর্মী মোফাজ আহমেদ বলেন, আমাদের দেশের অনেক তরুণরা এখনও জলবায়ুকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। কিন্তু বাংলাদেশের প্রত্যেক যুবক-যুবতীকে বুঝতে হবে যে আমরা অস্তিত্ব সংকটে আছি। যার কারণ জলবায়ু পরিবর্তন। আমারা দিন দিন জলবায়ুজনিত বিপদের দিকে এগোচ্ছি। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব আজ চারদিকে দৃশ্যমান। সবাইকে বলবো আসুন আমরা আওয়াজ তুলি জলবায়ুর সুবিচারের দাবিতে।

মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন সেইভ ফিউচার বাংলাদেশের কর্মী সুমাইয়া আক্তার মিম, মেহেজাবিন বৃষ্টি, শাওন আহমেদ প্রমুখ। 

এমএইচএন/এইচকে