চট্টগ্রামের জেএমসেন হলের পূজামণ্ডপে হামলার চেষ্টা ও ব্যানার-পোস্টার ছেঁড়াসহ পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় যুব অধিকার পরিষদের সাতজনের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

শুক্রবার (২২ অক্টোবর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালত শুনানি শেষে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন।  

তিনি বলেন, এর আগে আসামিদের সাত দিনের রিমান্ডে আনার আবেদন করেছিলাম আদালতে। আদালত শুনানি শেষে সাতজনের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গ্রেফতার বাকি তিনজনের বয়স ১৯ বছরের কমে হওয়ায় রিমান্ড চাওয়া হয়নি। 

যুব অধিকার পরিষদের চট্টগ্রাম মহানগর শাখার আহ্বায়ক মো. নাছির, সদস্য সচিব মিজানুর রহমান, বায়েজিদ থানার আহ্বায়ক মো. রাসেল, কর্মী ইয়াসিন আরাফাত, হাবিবুল্লাহ মিজান, ইমন ও ইমরান হোসেনকে রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রাম নগরীর জেএমসেন হলে হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় ১০ জনকে গ্রেফতার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। রাত ২টার দিকে গ্রেফতারের বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে  নিশ্চিত করেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দীন। 

তিনি তখন বলেন, ভিডিও ফুটেজ দেখে বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে ঘটনার দিন মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়া কয়েকজন রয়েছেন।

পুলিশ বলছে, চট্টগ্রামের জেএমসেন হলের পূজামণ্ডপে হামলার চেষ্টা, ব্যানার-পোস্টার ছেঁড়া ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে গ্রেফতার ১০ জনের মধ্যে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ, চট্টগ্রামের ৯ জন নেতাকর্মী রয়েছেন। তাদের নেতৃত্বে ও পরিকল্পনায় মিছিল এবং পূজামণ্ডপে হামলা ও ব্যানার-পোস্টার ছেঁড়ার ঘটনা ঘটেছে। 

শুক্রবার (২২ অক্টোবর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) বিজয় বসাক ঢাকা পোস্টকে বলেন, মিছিলের ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা ও তদন্ত করে সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের নেতাকর্মী বলে পরিচয় পাওয়া গেছে। আমাদের কাছে পরিচয় তারা এখন অপরাধী। অপরাধ করেছেন বলেই তাদের আমরা আইনের আওতায় নিয়ে এসেছি। 

চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছি গ্রেফতার হওয়া আসামিরা হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন। সে অনুযায়ী সাধারণ মুসল্লিদের কাজে লাগিয়েছে। সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য এ হামলার ঘটনা। বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ, চট্টগ্রামের নেতাদের পরিকল্পনাতেই চট্টগ্রামের জেএমসেন হলে হামলার ঘটনা ঘটেছে। 

এদিকে, ১৬ অক্টোবর চট্টগ্রামের জেএমসেন হলে পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনায় ৮৩ জনের নাম উল্লেখ করে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলা অজ্ঞাতনামা আরও অন্তত ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। কোতোয়ালি থানার এসআই আকাশ মাহমুদ ফরিদ বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাটি দায়ের করেন।

কেএম/এসকেডি