সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলার আসামি এহতেশামুল হক ভোলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। 

বেনাপোল থেকে তাকে গ্রেফতার করে শনিবার (২৩ অক্টোবর) চট্টগ্রাম নিয়ে আসা হয়েছে বলে ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন মিতু হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআইয়ের পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা। 

তিনি বলেন, মিতু হত্যার ঘটনায় তার বাবার দায়ের করা মামলার আসামি ভোলা। তাকে শুক্রবার (২২ অক্টোবর) রাতে বেনাপোল এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ তাকে চট্টগ্রামে আনা হয়েছে। 

পিবিআই সূত্রে জানা গেছে, বেনাপোল দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল ভোলা। এর আগেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

গত ১৪ অক্টোবর সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলার আসামি এহতেশামুল হক ভোলার জামিন নামঞ্জুর করেছিলেন চট্টগ্রামের একটি আদালত। মিতু হত্যা মামলার আসামি এহতেশামুল হক ওরফে ভোলা উচ্চ আদালতের নির্দেশে আত্মসমর্পণ করতে সময়ের আবেদন করেছিলেন। 

উল্লেখ, মাহমুদা খানম মিতুর বাবার করা মামলায় গত ১৫ সেপ্টেম্বর আসামি ভোলা উচ্চ আদালত থেকে চার সপ্তাহের অন্তর্বর্তী জামিন পান। মেয়াদ শেষ হওয়ায় মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেছিলেন তিনি। 

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম (মিতু)। ওই সময় এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে বাবুল আক্তার পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রমের জন্য স্ত্রীকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে মামলায় অভিযোগ করেন বাবুল আক্তার। তবে দিন যত গড়িয়েছে মামলার গতিপথও পাল্টেছে। এক পর্যায়ে সন্দেহের কেন্দ্রবিন্দুতে আসে মিতুর স্বামী বাবুল আক্তারের নাম। তদন্তে তার বিরুদ্ধেই হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১১ মে ডেকে তাকে হেফাজতে নেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। 

পরে ১২ মে বাবুল আক্তারসহ আটজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলায় এহতেশামুল হক ভোলাকেও আসামি করা হয়েছিল। স্ত্রী মাহমুদা খানম (মিতু) হত্যা মামলার প্রধান আসামি বাবুল আক্তারকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পিবিআই। রিমান্ড শেষে প্রথমে আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার কথা থাকলেও পরে জবানবন্দি দেননি বাবুল। তারপর তাকে চট্টগ্রাম কারাগারে পাঠানো হয়।

কেএম/জেডএস