জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করছেন আরাফাত জোবায়ের / ছবি : ঢাকা পোস্ট

নগদ-ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ঢাকা পোস্টের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক আরাফাত জোবায়ের। ‘শতবর্ষে ঢাবি’ শীর্ষক সিরিজ প্রতিবেদনের জন্য তাকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রিন্ট-অনলাইন গণমাধ্যমের ক্রীড়া ক্যাটাগরিতে এ পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। ​অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উপলক্ষে এর ক্রীড়াঙ্গনের নানা বিষয় এবং দেশের ক্রীড়াঙ্গনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান ও নানা বিষয় নিয়ে পাঁচ পর্বের ধারাবাহিক প্রতিবেদন করেছিলেন আরাফাত জোবায়ের। 

তিনি এক দশকের বেশি সময় ক্রীড়া সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত। ক্রীড়াজগত, ক্রীড়ালোকের মাধ্যমে তার ক্রীড়া বিষয়ক লেখালেখিতে পদার্পণ। আট বছরের বেশি সময় দেশের সবচেয়ে প্রাচীন পত্রিকা দৈনিক সংবাদের স্পোর্টস রিপোর্টার ছিলেন তিনি। ঢাকা পোস্টের জন্মলগ্ন থেকে সিনিয়র স্পোর্টস রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন আরাফাত জোবায়ের। এই ক্রীড়া সাংবাদিক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অ্যাকাডেমিক ডিগ্রি শেষ করেছেন। 

আরাফাত জোবায়েরের পাশাপাশি ক্রীড়া ক্যাটাগরিতে টেলিভিশন-রেডিওতে সেরা ক্রীড়া সাংবাদিক হয়েছেন চ্যানেল-২৪ এর সাদমান সাকিব। তার রিপোর্টের বিষয়বস্তু ছিল- ঘরোয়া ফুটবলে পাতানো ম্যাচ।

১. শতবর্ষে ঢাবি: নেই ব্লু’র সঠিক হিসাব!

২. শতবর্ষে ঢাবি : ট্রফি আছে, ট্রফি নেই!

৩. শতবর্ষে ঢাবি : এখন শুধু বিকেএসপি কোটা কেন?

৪. শতবর্ষে ঢাবি : ডাকসু ও ক্রীড়াঙ্গন সবই সোনালি অতীত

৫. শতবর্ষে ঢাবি : জিমনেসিয়াম যেন এক হাহাকার

ডিআরইউ সদস্যদের পেশাগত কাজের স্বীকৃতি হিসেবে প্রতি বছর বিভিন্ন বিষয়ে শ্রেষ্ঠ রিপোর্টিংয়ের জন্য অ্যাওয়ার্ড দিয়ে থাকে। এবার প্রিন্ট ও অনলাইন ক্যাটাগরিতে ক্রীড়া বিষয়ে বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ঢাকা পোস্টের জ্যেষ্ঠ ক্রীড়া প্রতিবেদক আরাফাত জোবায়ের।

প্রিন্ট ও অনলাইন ক্যাটাগরিতে মুক্তিযুদ্ধ, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি; শিক্ষা; অপরাধ ও আইনশৃঙ্খলা; তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি; রাজনীতি, প্রশাসন, বিচার, সংসদ ও নির্বাচন কমিশন; ক্রীড়া; স্বাস্থ্য; সেবা খাত; কৃষি ও পরিবেশ; অর্থনীতি; আর্থিক খাত (ব্যাংক, বিমা ও পুঁজিবাজার); নারী, শিশু ও মানবাধিকার এবং বৈদেশিক সম্পর্ক (কূটনীতি ও জনশক্তি) বিষয়ে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ২২ জন সাংবাদিককে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।

এছাড়া টেলিভিশন ও রেডিও ক্যাটাগরিতে অর্থনীতি; আর্থিক খাত (ব্যাংক, বিমা ও পুঁজিবাজার); অপরাধ ও আইনশৃঙ্খলা; তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি; নারী, শিশু ও মানবাধিকার; ক্রীড়া; স্বাস্থ্য; সেবা খাত এবং সুশাসন ও দুর্নীতি (অনুসন্ধানী) বিষয়ে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, অনলাইন পোর্টালসহ নিত্যনতুন মাধ্যম সম্পর্কে আমাদের জানতে হচ্ছে। গণমাধ্যম থেকে তথ্য পাওয়ার পর আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি। রাস্তার যানজট, আবহাওয়ার আগাম বার্তা থেকে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে পথ চলতে পারি। চলার পথে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাংবাদিকতা তাই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, দায়িত্বশীল ও নৈতিকতাপূর্ণ সাংবাদিকতা এখন জরুরি। কারণ ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে নাশকতা ঘটানো হচ্ছে‌। তা প্রতিরোধ করার বিষয়টি আমাদের ভাবতে হবে। এজন্য প্রয়োজন উপযুক্ত সাংবাদিকতা।

তিনি আরও বলেন, ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তারই ফলশ্রুতিতে আমরা এ করোনাকালে ডিজিটাল বাংলাদেশের মাধ্যমে সবার সঙ্গে সংযুক্ত থেকেছি ভার্চুয়ালি। ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশের যে ঘোষণা দিয়েছিলেন তা এখন বাস্তবতা। এখন অবাধে সংবাদ প্রচার করা যাচ্ছে। চলমান ঘটনাকে তুলে ধরছেন সাংবাদিকরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে অনেক নতুন বিষয় চ্যালেঞ্জ হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে বলে আমি মনে করি‌। আমি মনে করি গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ গণমাধ্যম। গণমাধ্যম জনজীবনের অন্যতম অনুষঙ্গ। আমরা অসংখ্য খবরের মুখোমুখি হই প্রতিদিন। সংবাদের প্রবাহ বেগবান হয়েছে তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে।

টিআইএস/এসএম/জেএস