বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে ৬ কোটি ৯৩ লাখ টাকা জমা দিয়েছে ৪ বেসরকারি কোম্পানি। কোম্পানিগুলো হলো- মোবাইল অপারেটর কোম্পানি রবি, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস এবং নুভিস্তা ফার্মা। তারা গত এক বছরের লভ্যাংশ থেকে একটি নির্দিষ্ট অংশ এ তহবিলে জমা দিয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) সচিবালয়ে কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিরা নিজ-নিজ কোম্পানির পক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের কাছে পৃথকভাবে ৬ কোটি ৯৩ লাখ ৪১ হাজার ২৪১ টাকার চেক হস্তান্তর করেন।

মোবাইল কোম্পানি রবি আজিয়াটা লিমিটেডের পক্ষে প্রধান মানব সম্পদ কর্মকর্তা ইমটিয়াজ খান ২ কোটি ৭৬ লাখ ৩৩ হাজার ৩৮০ টাকা, মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার আক্তার হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল ২ কোটি ১৬ লাখ ১৪ হাজার ১৩৭ টাকা, বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড এবং নোভিস্তা ফার্মার চিফ অপারেটিং অফিসার রাব্বুর রেজার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল ১ কোটি ৯৫ লাখ ৫১ হাজার ৮২৬ টাকা এবং ৫ লাখ ৪১ হাজার ৮৯৮ টাকার চেক হস্তান্তর করেন।

বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী, কোনো কোম্পানির লাভের এক দশমাংশ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে জমা দেওয়ার বিধান রয়েছে। এ পর্যন্ত ২১৭টি দেশি-বিদেশি এবং বহুজাতিক কোম্পানি ৬০০ কোটি টাকা এ তহবিলে জমা দিয়েছে। এ তহবিল থেকে প্রাতিষ্ঠানিক অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে শ্রমিকদের মৃত্যুজনিত, দুরারোগ্য রোগের চিকিৎসা এবং তাদের সন্তানদের উচ্চশিক্ষায় সহায়তা দেওয়া হয়।

চেক প্রদান অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক বেগম জেবুন্নেছা করিম, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের মহাপরিদর্শক মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ, মোবাইল কোম্পানি রবির চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মোহাম্মদ শাহেদুল আলম, পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট শরীফ শাহ জামাল রাজ, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের পরিচালক (অ্যাকাউন্টস) জামাল আহমেদ চৌধুরী, হেড অফ হিউম্যান রিসোর্স এম এ এরশাদ, সহকারী ম্যানেজার আরিফ-উল- ইসলাম, পরিচালক (ইন্ডাস্ট্রিয়াল অপারেশন) খন্দকার মো. আল মামুন, মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের হেড অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং সিবিএ সভাপতি সাদিকুর রহমান, হেড অ্যাসিস্ট্যান্ট ও সিবিএ সাধারণ সম্পাদক মো. হামিদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

এসএইচআর/এসএম