দুই মাসের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন নিতে হবে সব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে। একইসঙ্গে এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাংলাদেশ ব্যাংকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ‘ডিপোজিট’ রাখতে হবে।

মন্ত্রিসভা থেকে এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি গণভবন থেকে যুক্ত ছিলেন। সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা বৈঠকে যোগ দেন।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আজকের বৈঠকে ইভ্যালি বা ই-কমার্স নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে উনারা (বাণিজ্য মন্ত্রণালয়) সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আমরা নিজেরাও বসেছিলাম। আগামী দুই মাসের মধ্যে একটি প্রিসাইজ প্রোগ্রাম করে যারা-যারা এ জাতীয় ই-কমার্সের সঙ্গে জড়িত থাকবে, তাদের সবাইকে রেজিস্ট্রেশন নিতে হবে।’

‘একইসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকে তাদের একটি ডিপোজিট রাখতে হবে। যাতে কিছু হলে সেই ডিপোজিট থেকে সবার টাকা দেওয়া যায়’- যোগ করেন তিনি।

এ বিষয়ে অনিয়ম রোধে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে নজরদারি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, ‘পাশাপাশি ব্যাপক ক্যাম্পেইনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেখানে মানুষকে বোঝানোর জন্য ব্যাপকভাবে প্রচার চালানো...এই যে আমরা লিস্ট দিয়ে দিচ্ছি, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের অথোরাইজড। সুতরাং কেউ এর বাইরে কারো সঙ্গে লেনদেন করবেন না। যদি করেন সেটা আপনার নিজ দায়িত্ব।’

এসএইচআর/ওএফ/এমএইচএস/জেএস