স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ১৭টি নথি গায়েব হওয়ার ঘটনা নিয়ে বিভাগের সচিব মো. আলী নূর বলেছেন, আমরা তো সত্যিকারভাবেই জানি না, কে কাজটি করেছে। আমি তো মনে করি, আমরা সবাই সন্দেহের মধ্যে আছি।

রোববার দুপুরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। সচিব বলেন, আমরা পুলিশকে বলেছি, আপনারা সবাইকেই ইনক্লুড (যুক্ত) করবেন, যাতে আমরা তথ্যটি জানতে পারি, নথিগুলো উদ্ধার করতে পারি।

ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার ফাইল মিসিংয়ের (নথি গায়েব) বিষয়টি জানার পর সঙ্গে সঙ্গে আমাদের অফিসারদের সেখানে খবর নেওয়ার জন্য পাঠাই। পরে আমরা নিশ্চিত হই যে, ফাইল মিসিং হয়েছে। মিটিং শেষ করে আমি স্পটে যাই। অতিরিক্ত সচিবরা আমার সঙ্গে ছিলেন। 

তিনি আরও বলেন, আমি পুলিশকে খবর দিলাম। একজন এডিসিসহ পুলিশের আরও দুজন কর্মকর্তা আমাদের এখানে এসেছেন। তারা বিষয়গুলো দেখেছেন। দেখার পর আমি তাৎক্ষণিকভাবে মন্ত্রী মহোদয়কে অবহিত করি, ক্যাবিনেট সচিব মহোদয়কে অবহিত করি এবং পুলিশকে প্রয়োজনে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলি। আমি যখন মিটিংয়ে ছিলাম, জিডি করার কার্যক্রম তারা সম্পন্ন করেছে। 

সচিব বলেন, সিআইডিকে অনুরোধ করি, বিষয়টি দেখার জন্য। ফাইল তো আমাদের উদ্ধার করতে হবে, যেভাবেই হোক। যারা এর সঙ্গে জড়িত, তাদের খুঁজে বের করতে হবে। কখন, কীভাবে হলো তা জানতে হবে। এখন সিআইডি তদন্ত করছে। আমাদের অফিসাররা সার্বিক সহযোগিতা করছেন। 

এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের সচিব বলেন, সেই কমিটি কাজ শুরু করেছে। আমরা আশা করছি, শিগগিরই জানতে পারব, কারা-কীভাবে কাজটি করেছে এবং কেন করেছে। কমিটিকে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। 

প্রাথমিকভাবে জিডি করেছেন কিন্তু মামলা করেননি কেন বা কখন করবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি তদন্তাধীন। এখন তদন্তের অগ্রগতি জানার পর ফিডব্যাক নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

ফাইলগুলো কী সংক্রান্ত ছিল- জানতে চাইলে তিনি বলেন, এগুলো ক্রয় সংক্রান্ত। এগুলোতে তেমন গোপন কিছু নেই। প্রতিটি ফাইলের তথ্য আমাদের অন্যান্য বিভাগেও আছে, আমাদের কম্পিউটারেও আছে, আমাদের ডিজি অফিসগুলোতেও আছে। এ নিয়ে তেমন সমস্যা হবে না। কিন্তু মূল বিষয় হচ্ছে ফাইল মিসিং হওয়া। 

এর আগে, সকালে সিআইডির সদস্যরা সচিবালয়ে এসে তিন নম্বর ভবনের নিচতলার ২৪ নম্বর কক্ষ (এ কক্ষ থেকে ফাইল চুরি হয়েছে) থেকে আলামত সংগ্রহ করেন এবং সেখানে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬ কর্মচারীকে সিআইডি কার্যালয়ে নিয়ে যান। 

এসএইচআর/আরএইচ/জেএস