বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে গাজীপুরের স্টাইল ক্রাফট লিমিটেড ও ইয়ং ওয়ান লিমিটেডের কয়েক হাজার পোশাক শ্রমিক ও কর্মচারীরা। একইসঙ্গে তাদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) প্রতিষ্ঠান দুইটির বেতন বঞ্চিত শ্রমিক ও কর্মচারীরা বিজয়নগর, সেগুনবাগিচা ও প্রেসক্লাব এলাকায় এই বিক্ষোভ মিছিল করেন।

মিছিল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দিকে যেতে চাইলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে আন্দোলনকারীদের একটি দলকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী বরাবর দেওয়া ওই স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে- ‘আমরা গাজীপুরে অবস্থিত স্টাইল ক্রাফট লিমিটেড ও ইয়ং ওয়ান লিমিটেড কারখানার শ্রমিক। বর্তমানে কারখানাগুলোর ৪ হাজার ২৪৩ জন শ্রমিক-কর্মচারী প্রাপ্য মজুরি থেকে বঞ্চিত। যে কারণে তারা অনাহারে-অর্ধাহারে মানবেতর জীবন যাপন করছে। নিরুপায় হয়ে শ্রমিকরা গত দশ দিন ধরে ঢাকার শ্রম ভবনের সামনে লাগাতার অবস্থান নিতে বাধ্য হয়েছে।’

‘মালিকপক্ষ ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে নানাভাবে বেতন ভাতা এবং ঈদ বোনাস না দিয়ে আমাদের বঞ্চিত করেছে। বর্তমানে কারখানার শ্রমিকদের ছয় মাসের এবং কর্মচারীদের নয় মাসের বেতন বকেয়া আছে। মালিকপক্ষ বেআইনিভাবে কারখানা বন্ধ করে শ্রমিক ও কর্মচারীদের বিপুল অংকের পাওনা পরিশোধ করছে না।’

স্মারকলিপিতে শ্রমিকরা বলেন, ‘বিগত ৬ মাসের বেশি সময় ধরে আমরা বিভিন্ন সরকারি দফতর এবং মালিক সমিতির দ্বারে দ্বারে ঘুরেও এ সংকটের সুরাহা পাইনি। এরমধ্যে রাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিদের উদ্যোগে কয়েকবার শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের বিষয়ে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। কিন্তু মালিকপক্ষ চুক্তির কিছুই প্রতিপালন করেনি।’

স্মারকলিপিতে দাবির বিষয়ে বলা হয়, ‘গত ৫ সেপ্টেম্বর শ্রম প্রতিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সম্পাদিত ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অবিলম্বে বাস্তবায়নের মাধ্যমে শ্রমিকদের সকল পাওনা পরিশোধ করতে হবে। একইসঙ্গে বারবার চুক্তি ভঙ্গ করে শ্রমিকদের সীমাহীন হয়রানি করায় মালিক এবং দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। প্রয়োজনে কোম্পানির সব সম্পত্তি অধিগ্রহণ করে শ্রমিক-কর্মচারীদের ছয় মাসের বকেয়া বেতন এবং সব পাওনা নিষ্পত্তি করতে হবে।’ 

আরএম/এমএইচএস