তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে পরিবহন শ্রমিক ও মালিকদের ধর্মঘটে সমর্থন জানিয়েছেন বাংলাদেশ গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।

শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা জানান।

নুর বলেন, ‘পরিবহন শ্রমিক ও মালিকপক্ষের একটি কর্মসূচি চলছে, যেটি যথার্থ। হঠাৎ করে কোনো ধরনের বিজ্ঞপ্তি ছাড়া একবারে ১৫ টাকা ডিজেল, কেরোসিনের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এমনিতেই দীর্ঘদিন ধরে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ফলে জনজীবনে বিপর্যয় ঘটেছে। জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাব- তেলের দাম যে বৃদ্ধি করা হয়েছে এটি প্রত্যাহার করতে হবে। মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে বসে এর সমন্বয় করতে হবে।’

নির্বাচনের বিষয়ে নুর বলেন, ‘জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়ে নির্বাচন করব। এছাড়া নির্বাচনে আসার চিন্তা নেই।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। তাই এই সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচনে গণ অধিকার পরিষদ অংশ নেবে না। জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ঘোষণার দিন থেকে বিভিন্নভাবে ক্লিয়ার করেছি যে বর্তমান সরকার দুর্বৃত্তের সরকারে পরিণত হয়েছে। যারা রাষ্ট্রের বিচার বিভাগ থেকে শুরু করে, গণমাধ্যম, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সব প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণের মধ্য দিয়ে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এনেছে। এই সরকারের অধীনে, এই সেটআপে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। যদি সম্ভব হয়, এটা পাগলেও বিশ্বাস করবে না।’

সাবেক ভিপি বলেন, ‘সব রাজনৈতিক দল ও মানুষের প্রতি আহ্বান, আগামীতে আমাদের একটা গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে। সেই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ফয়সালা হবে যে আগামীতে কীভাবে নির্বাচন হবে। আমরা এই মুহূর্তে অন্য কোনো জোটে অংশ নেব না। ২০ দলীয় জোটেও আমাদের দল অংশ নেবে না। আমাদের দল আপাতত যেভাবে আছে সেভাবেই চলবে।’

দলটির আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, বর্তমান সরকার লুট পাটে ব্যস্ত। দেশে তেলের দাম বাড়িয়ে সরকার বোকা বানিয়েছে সাধারণ মানুষকে।’

এ সময় গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, ফারুক হাসান, আবু হানিফ ও মোহাম্মদ আতাউল্লাহসহ প্রমুখ ছাত্র নেতা উপস্থিত ছিলেন।

মাহিদুল মাহিদ/ওএফ