কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে যাবেন আশরাফুল ইসলাম। ছোট ভাই সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। তাই তার বাড়ি যাওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় শনিবার (৬ নভেম্বর) সকালে মোটরসাইকেলে করে রাজধানী ছাড়েন তিনি।

মহাখালী এলাকায় ঢাকা পোস্টের সঙ্গে কথা হয় তার। তিনি বলেন, পরিবহন ধর্মঘট চলছে এ কারণে বিপদে পড়েছি। বাড়ি যাওয়াটাও জরুরি হয়ে পড়েছে। উপায় না পেয়ে মোটরসাইকেলে করে ভেঙে ভেঙে যাচ্ছি।

জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করায় ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে সারাদেশে সড়কে বাস ও ট্রাকসহ পণ্যপরিবহন বন্ধ রেখেছেন মালিকরা। আজ শনিবারও তারা রাজধানীসহ সারাদেশে গণ ও পণ্যপরিবহন বন্ধ রেখেছে। এতে যাত্রীরা চরম বিপাকে পড়েছেন।

শনিবার সকাল থেকে রাজধানীতে বাস ও মিনিবাস চলাচল করতে দেখা যায়নি। তবে সড়কে বিআরটিসির বাস, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল ও রিকশায় যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে। এছাড়া প্রাইভেটকারেও যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে।

সকাল ৯টায় মহাখালী লেভেল ক্রসিংয়ে বিআরটিসির দোতলা বাসে যাত্রীর অতিরিক্ত চাপ দেখা। থেমে থেমে চলতে থাকা বাসে তবুও যাত্রী উঠছিলেন। অনেককে বিআরটিসি বাসে বাদুড়ঝোলা হয়ে যাতায়াত করতে দেখা গেছে। ভিড় বাসে ওঠা যাত্রী সফর আলী বলেন, দেড় ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে বাস পেয়েছি। আমি টঙ্গী যাব।

টঙ্গী যেতে তিনি বহু অপেক্ষার পর বাস পেলেও মহাখালীতে রাস্তায় শত শত যাত্রী অপেক্ষায় ছিলেন গণপরিবহনের জন্য। ওই এলাকা থেকে প্রাইভেটকারে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা যায়। কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শুক্রবার ধর্মঘট শুরু হওয়ার পর থেকে প্রাইভেটকারে যাত্রী পরিবহন করছেন অনেক চালক।

মোটরসাইকেলে করে উত্তরা ও টঙ্গীর দিকে যেতে দেখা যায় অনেক যাত্রীকে। যানজটে থেমে থাকা একটি মোটরসাইকেলের যাত্রী শরীফ উদ্দিন বলেন, ২০০ টাকার ভাড়া ৫০০ টাকা হয়ে গেছে। তবু যেতে হবে। জরুরি কাজ পড়েছে।

শনিবার ছুটির দিন হলেও বনানী, মহাখালী, বিজয় সরণী, আগারগাঁও ও মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বর সড়কে প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল ও রিকশার জট দেখা গেছে।

পিএসডি/এসএসএইচ