জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে চট্টগ্রামে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। নগরীর টাইগারপাস মোড়ে সড়ক অবরোধ করে গাড়ি ও সিএনজি চলাচলে বাধা দিয়েছেন পরিবহন শ্রমিকরা। 

শনিবার (৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে সকাল ৯টার দিকে টাইগারপাস এলাকায় পরিবহন শ্রমিকরা রাস্তায় অবস্থান নেন। এ সময় তাদেরকে বিভিন্ন গণপরিবহন চলাচলে বাধা দিতে দেখা গেছে। শ্রমিকরা ব্যক্তিগত গাড়ি ও সিএনজি আটকে দেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। পরে বেলা ১১টার দিকে পুলিশ তাদেরকে সরিয়ে দেয়। এরপর সব ধরনের গাড়ি চলাচল শুরু হয়। 

চট্টগ্রামের ১১ নম্বর রোডের বাসের শ্রমিক আব্দুল হালিম বলেন, ‘জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। কিন্তু গাড়ি ভাড়া বাড়েনি, তাই গাড়ি চালাইনি। আমাদের দাবি মানার জন্য রাস্তায় নেমেছি। জ্বালানি তেলের দাম কমাতে হবে না হয় গাড়ি ভাড়া বাড়াতে হবে।’

এদিকে, সকালে গাড়ি না পেয়ে টাইগারপাস এলাকায় বিক্ষোভ করেছেন গার্মেন্টস শ্রমিকরা। সকাল ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত বিক্ষোভ করে তারা।

চট্টগ্রাম ইপিজেডে কাজ করা নাসিমা আক্তার নামে এক শ্রমিক বলেন, ‘পরিবহন ধর্মঘটের কারণে গাড়ি চলেনি। সকাল ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থেকেও কোনো গাড়ি পাইনি। অফিসও গাড়ির ব্যবস্থা করেনি। আমরা এসব হয়রানির অবসান চাই। কাজ করতে চাই। গাড়ি ভাড়া বাড়বে শুনেছি, কিন্তু আমাদের বেতন বাড়বে না।’

কথা হয় বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরিজীবী মো. সোবহানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বন্দর এলাকায় আমার অফিস। আমার বাসা থেকে এমনিতে সিএনজি ভাড়া ১০০ টাকা। আজকে ভাড়া চাচ্ছে ১৫০ টাকা।’ 

এদিকে নগরীর লালখান বাজার, কাজির দেউড়ী, নিউমার্কেট, নতুন ব্রিজ এলাকায় দেখা গেছে, মানুষ গাড়ি না পেয়ে হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছেন। এছাড়া অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে মানুষকে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। 

পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘তেলের দাম বাড়ানোর ফলে বর্তমান ভাড়ায় তাদের পক্ষে গাড়ি চালানো সম্ভব নয়। তাই তারা গাড়ি চলাচল বন্ধ রেখেছেন।’

টাইগারপাস মোড়ে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে  বলেন, ‘পরিবহন শ্রমিকরা রাস্তায় গাড়ি চলাচলে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তাদেরকে রাস্তা থেকে সরিয়ে দিয়েছি। বেলা ১১টার পর থেকে সিএনজি ও ব্যক্তিগত গাড়িসহ সব ধরনের যানবাহন চলছে।’

কেএম/ওএফ