চাদঁপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন ঘাট থেকে রাতে কয়েকটি লঞ্চ সদর ঘাটে ভিড়েছে। তবে ঢাকা থেকে কোনো লঞ্চ ছাড়ছে না। ঘাট এলাকা থেকে লঞ্চগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

মূলত জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় ভাড়া সমন্বয় করার দাবিতে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রেখেছেন মালিকরা। এদিকে রাতে লঞ্চ না পেয়ে ঘাটে অনেক যাত্রী ঘুমিয়ে ছিল।

রোববার (৭ নভেম্বর) সকালে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, লালকুঠি ঘাটে চাঁদপুর, পটুয়াখালী থেকে লঞ্চ এসেছে। লঞ্চ কর্তৃপক্ষ বলছে, যাত্রী আগের তুলনায় কমেছে। এছাড়া ভান্ডারিয়া-হুলারহাট থেকেও লঞ্চ এসেছে ঢাকায়। তবে দক্ষিণাঞ্চলের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার জন্যে টার্মিনালে কোনো লঞ্চ নেই।

গত বুধবার রাতে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা করে সরকার। এর প্রতিবাদে লঞ্চমালিকরা ভাড়া দ্বিগুণের দাবি তুলে আল্টিমেটাম দেন। এদিকে, রোববার বিকেলে লঞ্চভাড়া নিয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র প্রধান কার্যালয়ে মিটিং হওয়ার কথা রয়েছে সংশ্লিষ্টদের।

পটুয়াখালী (গলাচিপা) থেকে ঢাকায় আসা লঞ্চের ম্যানেজার আব্দুল সাইদ বলেন, যাত্রী কমেছে আগের চেয়ে, ভাড়া বেশি নেওয়া হয়নি। ভাড়া না বাড়ানো পর্যন্ত ঢাকা থেকে আমাদের লঞ্চ ছাড়বে না।

ভান্ডারিয়া (পিরোজপুর) থেকে ঢাকায় সোবহান মিঞা আসেন। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, রাতে লঞ্চে উঠেছি, এখন এসে পৌঁছালাম। ভাড়া পূর্বের ন্যায় আছে, তবে লঞ্চে বেশি মানুষ ছিল না।

পটুয়াখালী (গলাচিপা) থেকে ঢাকায় আসায় সেলিম পাটোয়ারী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আসতে কোনো সমস্যা হয়নি। পরিবারের একটা সমস্যায় ঢাকায় আসছি। আগের মতো ভাড়া দিয়ে আসলাম।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ট্রাফিক ইন্সপেক্টর দীনেশ কুমার সাহা বলেন, আমি সকালের দায়িত্বে এসেছি। তবে ঢাকা থেকে কোনো লঞ্চ ছাড়বে না। যেসব যাত্রী রাতে ঘাট অবস্থান করেছিল তাদের নিরাপত্তায় নৌপুলিশ, আনসার সদস্যরা ছিল। আশা করি কোনো সমস্যা হয়নি। এছাড়া ঘাটে অপ্রীতিকর ঘটনা সংগঠিত হলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যে আমাদের কর্তব্যরত সদস্যরা সজাগ আছেন।

এমটি/এসএম