চট্টগ্রাম নগরীতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন বাস মালিক সমিতির বাস চলাচল শুরু হয়েছে। তবে আজকেও বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রাম থেকে বিভিন্ন উপজেলা ও আন্তঃজেলা বাস চলাচল। অবশ্য বাস ও টেম্পুতে বেশি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ করছেন যাত্রীরা।

আজ (রোববার) চট্টগ্রামের ওয়াসা, লালখান বাজার, টাইগার পাস, কাজির দেউড়ী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে বাস চলাচল করছে। পাশাপাশি টেম্পুসহ অন্যান্য গণপরিবহনও চলাচল করতে দেখা গেছে। বাস চলাচলের ফলে নগরবাসীর ভোগান্তি কিছুটা কমেছে। 

শহিদুল সুমন নামে এক যাত্রী বলেন, বাস চলাচল করছে, তাতে কষ্ট কিছুটা লাঘব হয়েছে। তবে অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে। ১০ টাকার ভাড়া ১২ টাকা নিচ্ছে। 
 
বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আজহারুল ইসলাম বলেন,  এভাবে যখন তখন যেন ধর্মঘট ডেকে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করতে না পারে সেইজন্য আইন করতে হবে। 

তবে আজও চট্টগ্রাম নগরীর কদমতলী ও  বহদ্দারহাট বাস স্টেশন থেকে আন্তঃজেলা কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। 

বেশি ভাড়া নেওয়ার কথা ঢাকা পোস্টের কাছে স্বীকার করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন বাস মালিক সমিতির সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল। তিনি বলেন, ‘আগে ওঠানামা ৫ টাকা নিলেও এখন ওঠানামা ১০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। অন্যান্য ভাড়া কিলোমিটারে ঠিকই আছে। আগে যানবাহন চলাচল করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করি। তারপর সরকার যেভাবে ভাড়া নির্ধারণ করবে সেভাবেই ভাড়া নেবো। দু’দিনের মধ্যে সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’

তিনি আরও বলেন,‘আমাদের মেট্রোপলিটন বাস মালিক সমিতির ৫০০ গাড়ি আছে। এগুলো আজকে চলাচল করছে।’

গত বুধবার (৩ নভেম্বর) রাতে জ্বালানি তেলের দাম লিটারে ৬৫ থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। এর জেরে শুক্রবার সকাল থেকে বাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান মালিকরা গাড়ি বন্ধ রেখেছেন।

আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়তে থাকায় ‘লোকসান কমাতে’ দেশের বাজারেও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে জ্বালানি মন্ত্রণালয়।

কেএম/এনএফ