সংবিধান অনুযায়ী উপজেলা পরিষদ পরিচালনার দাবি
সংবিধানিক আইন ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচিত উপজেলা পরিষদকে কার্যকর করে পরিচালনার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশন।
আজ (রোববার) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হারুন-অর-রশীদ হাওলাদার।
বিজ্ঞাপন
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সাংবিধানিক নির্দেশনা অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের মালিক জনগণ। অথচ প্রজাতন্ত্রের প্রশাসনিক ক্যাডারের কর্মচারীরা আইনের চর্চা না করে, নির্বাচিত উপজেলা পরিষদকে অকার্যকর করে রেখেছে। যা শুধুমাত্র আইন অমান্যই নয় বরং বিভিন্ন স্তরে কর্মরত ২৬টি ক্যাডারের কর্মচারীদের প্রতিও অবহেলা। আমরা আইনের চর্চার পক্ষে আর প্রশাসনিক ক্যাডারের কর্মচারীরা আইন অনুসরণ করছেন না।
তিনি বলেন, শুধুমাত্র একটি ক্যাডারের কর্মচারীদের আইন না মানার কারণে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আমরা আজ কর্ম, মর্যাদা ও ব্যক্তিত্বহীন হয়ে পড়েছি। এমনকি এ ব্যাপারে হাইকোর্ট ১০ কর্ম দিবসের মধ্যে জবাব দিতে নির্দেশনা জারি করলেও নির্দেশনার কোনো জবাব দেওয়া হয়নি, যা আদালতের প্রতি অবজ্ঞা।
বিজ্ঞাপন
হাওলাদার বলেন, করোনাকালে স্থানীয় সরকারের ৬৫ হাজার জনপ্রতিনিধির মধ্যে মাত্র ০.৩ শতাংশ সদস্য অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ছিল। অনিয়মের কারণে তাদের অপসারণ করা হয়েছে। অথচ সরকারি কর্মচারীদের অবিরাম আইন অমান্যের বিরুদ্ধে কথা বললে কথায় কথায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের বিচার বিভাগীয় চার্জ গঠনের আগেই নির্বাহী আদেশ দ্বারা অপসারণ করা হয়; যা সম্পূর্ণ সংবিধানবিরোধী।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নই। জনপ্রতিনিধি ও প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের সঙ্গে আমরা একযোগে আইন অনুযায়ী কাজ করতে চাই। কিন্তু, নির্বাহী কর্মকর্তারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নন। কিছু কিছু মন্ত্রণালয়ের কিছু ডিজি আইন অমান্য করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের বিভিন্ন দায়িত্ব আরোপ করে দিচ্ছে। যার মাধ্যমে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে তারা অকার্যকর করে রাখছে।
তিনি কর্মসূচি ঘোষণা করে বলেন, এসব সমস্যা নিরসনে ১১ নভেম্বর থেকে দেশের বিভাগগুলোতে সফর করবেন অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা। বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় ও অন্যান্য কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। এর মধ্যে যদি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি না করা হয়, তবে সকল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় সরকারের অন্যান্য স্তরের প্রতিনিধিত্বসহ আগামী ১৬ জানুয়ারি ঢাকায় সমাবেশ করা হবে। পরবর্তীতে আরও কঠিন কর্মসূচিও ঘোষণা করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম খান বীরু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নূর হোসেন প্রমুখ।
এমএইচএন/এনএফ