রাজারবাগ দরবার শরিফের পীর দিল্লুর রহমানের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার (৮ নভেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই অনুসন্ধান টিম গঠন করা হবে।

দুদকের বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত বিভাগের মহাপরিচালক সাঈদ মাহবুব খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুসরণ করে কমিশন থেকে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই টিম গঠন করে অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করা হবে।

এর আগে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেছিলেন, দুদক যেকোনো অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে। আর যদি আদালতের নির্দেশ থাকে তাহলে ভিন্ন কিছু করার সুযোগ নেই। সেক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশনা প্রতিপালন করা আমাদের দায়িত্ব। 

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, রাজারবাগ দরবার শরিফের পীর দিল্লুর রহমানসহ বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে কমপক্ষে ৮০০টি ভুয়া মামলা করেছেন। এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৪৯টি মামলা দেওয়ার তথ্যও রয়েছে। এসব মামলার পেছনে রয়েছে সাত হাজার একর জমি ও রাবার বাগান দখল। পীরের পক্ষে তার অনুগতরা এসব মামলা দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে।

বিষয়টি দেশের সর্বোচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়ায়। মামলাগুলো স্থগিত করে পীরের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। শুধু তা-ই নয়, এর আগে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন রাজারবাগ পীরের সব আস্তানা বন্ধের যে সুপারিশ করে, তা বাস্তবায়নের জন্যও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে পীরের অনুসারীদের বিরুদ্ধে করা আটটি মামলা তদন্তেরও নির্দেশ দেওয়া হয়।

চলতি বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর রাজারবাগ দরবারের পীর দিল্লুর রহমান এবং তার দরবারের সব সম্পত্তির হিসাব চেয়ে ওই আদেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে দরবার শরিফের সব সম্পদের তথ্য খুঁজতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), তাদের জঙ্গি সম্পৃক্ততা আছে কি না, তা তদন্ত করতে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট এবং উচ্চ আদালতে রিটকারী আটজনের বিরুদ্ধে করা হয়রানিমূলক মামলার বিষয়ে তদন্ত করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেন আদালত। ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন দিল্লুর রহমান। 

আরএম/জেডএস/এমএআর/