এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গৃহহীনদের ঘর দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কোটি টাকা আত্মসাৎ ও ঘুষের বিনিময়ে এলাকার জনগণকে জন্মসনদ দেওয়ার অভিযোগ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এছাড়াও ট্যাক্স আদায় করে সরকারি কোষাগারে জমা না দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে সাতক্ষীরার কয়রা উপজেলার ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।

উপজেলার বেদকাশী ইউপির চেয়ারম্যান জি এম শামসুর রহমানসহ পরিষদের সদস্যদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ পেয়ে বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) অভিযান চালায় দুদক। খুলনার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. আল আমিনের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে।

দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ শফি উল্লাহ অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা পোস্টকে বলেন, সাতক্ষীরার কয়রা উপজেলার ৭নং দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গৃহহীনদের ঘর দেওয়ার নামে ঘুষ দাবি, জন্মসনদ প্রদানের বিনিময়ে অর্থ আদায়, ট্যাক্স আদায় করে রাজস্ব খাতে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ৪০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অভিযান চালায় এনফোর্সমেন্ট টিম। ইউনিয়ন পরিষদটি সুন্দরবনের পাশে দুর্গম চরাঞ্চলে অবস্থিত।

তিনি আরও বলেন, অভিযোগ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারের বক্তব্য গ্রহণ করেছে দুদক টিম। এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরার কয়রা উপজেলার বেদকাশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জি এম শামসুর রহমান জনসাধারনের নিকট থেকে জন্ম সনদের বিনিময়ে টাকা সংগ্রহ ও ট্যাক্স আদায় করে রাজস্ব জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। গৃহহীনদের ঘর দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এক কোটি ৩০ লাখ টাকা উত্তোলন আত্মসাৎ করেছেন। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের ৪০ দিনের কর্মসূচির প্রায় ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা ইউপি সদস্য মো. মোজাফ্ফার হোসেন শিকারীর সহযোগিতায় আত্মসাৎ করা হয়েছে অভিযোগ রয়েছে।

আরএম/ওএফ