চট্টগ্রাম বন্দর ফ্লাইওভারের ফাটল নিয়ে ভয়ের কিছু নেই
চট্টগ্রামের সল্টগোলা এলাকার ফ্লাইওভারের ফাটল নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন নির্মাণকারী সংস্থা সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের প্রকৌশলীরা।
শুক্রবার (১২ নভেম্বর) সওজের চট্টগ্রাম অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা ঢাকা পোস্টকে বলেন, সল্টগোলা এলাকার ফ্লাইওভারের একটি অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। ফ্লাইওভারের মূল কাঠামোর বাইরে এ ফাটল দেখা দিয়েছে। এ অংশটি মূল ফ্লাইওভারের সুরক্ষায় নির্মাণ করা হয়েছে। তাই এ ফাটল নিয়ে বড় ধরনের দুশ্চিন্তার কারণে নেই। যে ফাটল দেখা দিয়েছে তা ঠিক করা যাবে। ফ্লাইওভারে গাড়ি চলবে।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, সড়ক ও জনপথ অধিদফতর জনগুরুত্ব বিবেচনা করে ফ্লাইওভারের ফাটল মেরামতে যাবতীয় কারিগরি সহায়তা দেবে।
সওজ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) ঢাকা থেকে সওজের উচ্চপদস্থ একটি দল ফ্লাইওভারটি পরিদর্শন করে। এসময় পরিদর্শক দল জানায়, ফ্লাইওভারের পিলারে ফাটল দেখা দিলেও তা নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। যে ফাটল সৃষ্টি হয়েছে তা ঠিক করা যাবে।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, ফ্লাইওভারটি বন্দর কর্তৃপক্ষের চাহিদা মোতাবেক এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) সহায়তায় নির্মাণ করে ২০১১ সালে উদ্বোধন করা হয়। এরপর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে এডিবির ইভ্যালুয়েশন কমিটি ফ্লাইওভারটির মালিক চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে পিলারের ফাটলসহ অন্যান্য রুটিন মেরামত করার জন্য মতামত প্রদান করে। ফাটলটির বিষয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ অবহিত আছেন। ইতোমধ্যে মেরামতের কার্যাদেশ প্রদান করা হয়েছে।
কয়েক দিন আগে বন্দর সংযোগ ফ্লাইওভারের ফাটলের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এ ফ্লাইওভার দিয়ে শুধু চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন জেটি থেকে পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল করে। কোনো যাত্রীবাহী গাড়ি চলাচল করে না। ২০১২ সালের মার্চে এ উড়াল সড়ক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক দশমিক ৪২ কিলোমিটার দীর্ঘ এ ফ্লাইওভার চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) এবং চিটাগাং কনটেইনার টার্মিনালের (সিসিটি) সঙ্গে বন্দর টোল রোড সংযোগ করেছে।
কেএম/আইএসএইচ