ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ কনসোর্টিয়ামের প্রথম ডাটা ভ্যালিডেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকা শহরের পানি, বায়ু ও শব্দ দূষণ পরিবীক্ষণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধেশ্বরী ক্যাম্পাসে অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় এই কর্মশালা।

কনসোর্টিয়ামের দূষণ পরিবীক্ষণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে একটি স্টেট অব ঢাকা এনভায়রনমেন্ট রিপোর্ট প্রস্তুতের জন্য ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ কনসোর্টিয়াম ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ দশটি এলাকা থেকে শব্দ এবং বায়ু মানের নমুনা সংগ্রহ করে আসছে। এছাড়াও বুড়িগঙ্গা এবং ধলেশ্বরী নদীর ট্যানারি, নৌযান কর্তৃক দূষণ এবং ডায়িং দূষণের ৪টি এলাকা থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করেছে। এসব বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্তগুলো এই ডাটা ভ্যালিডেশন কর্মশালার মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়।

ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিলের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী নকী। কর্মশালায় সংগৃহীত গবেষণালব্ধ তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেন স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার। কর্মশালায় পরিবেশ দূষণ সংক্রান্ত প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনগত বিষয়ে আলোচনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ গোলাম সারওয়ার। কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন ইউএসএআইডি বাংলাদেশের প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট স্পেশালিস্ট-সিভিল সোসাইটি অ্যাডভাইজার সুমনা বিনতে মাসুদ, কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনালের প্রোমোটিং অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড রাইটস (পার) প্রকল্পের ডেপুটি চিফ অব পার্টি শাহিদ হোসেন প্রমুখ।

কর্মশালায় উপস্থাপিত প্রতিবেদনের ওপর বিশেষজ্ঞ মতামত প্রদান করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (বায়ুমান ব্যবস্থাপনা) সৈয়দ নাজমুল আহসান, ঢাকা ওয়াসার ঢাকা ল্যাবরেটরির পরিচালক ড. আলমগীর হোসেন, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ মনির হোসেন চৌধুরী, পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (বায়ুমান ব্যবস্থাপনা) শাহনাজ রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জসিমউদ্দীন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুব হোসেন, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশের সহ-সভাপতি এমএস সিদ্দিকী।

কর্মশালায় শরীফ জামিল বলেন, পরিবেশ রক্ষায় আমরা সবাই কাজ করছি। তারপরও ঢাকা শহরের বায়ু, পানি ও শব্দ দূষণ ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে একটি দুই বছর মেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে দূষণ প্রতিরোধে বিজ্ঞানভিত্তিক তথ্য উপাত্ত, স্থানীয় জনগোষ্ঠীর দৃষ্টিভঙ্গি এবং আইনি কাঠামো প্রয়োগের জন্য সরকারী নীতি নির্ধারণী মহলের সাথে কাজ করতে হবে।

পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক (বায়মান ব্যবস্থাপনা) সৈয়দ নাজমুল আহসান বলেন, ২০০৬ সালে প্রথম ঢাকার স্টেট অফ দ্য এনভায়রনমেন্ট রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। সরকারের প্রকাশিত তথ্যের সাথে গবেষণালব্ধ তথ্যের তুলনা করতে হবে। এছাড়া ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টের তথ্য ১৯৯২ সাল থেকে ডিওই সংগ্রহ করছে।

এমএইচএন/এইচকে