অকৃষি কাজে কৃষি জমির ব্যবহার বন্ধ করাসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছে জল জলা জমি জঙ্গল রক্ষা আন্দোলন। শনিবার (২০ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানায় সংগঠনটি।

সংগঠনের অন্য দাবিগুলো হচ্ছে : দেশের সব জল জলা জঙ্গল ও কৃষি জমি সংরক্ষণের উদ্দেশে অবিলম্বে সকল আইন বাস্তবায়ন করতে হবে; দেশের সকল জল জলা জঙ্গল জমি সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় দক্ষ সরকারি-বেসরকারি সংস্থা এবং সকল নিরাপত্তা বাহিনীর সমন্বিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কোর দ্রুত গঠন করে তাদের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে হবে; ঢাকাসহ সারাদেশে খাল বিল, নদী নালা, হাওর বাওড়সহ সকল জল জলা ভূমি দূষণমুক্ত ও পুনঃখনন করে পানির প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে; দেশীয় মৎস্য ও জলসম্পদ রক্ষা করা, ভারতের কাছ থেকে পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করা; বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশের সীমানার সকল সম্পদ চিহ্নিত করে তার সর্বোচ্চ ব্যবহার সুরক্ষা নিশ্চিত করা; বন ভূমি উদ্ধার করে সবুজ বনাঞ্চল তৈরি ও সংরক্ষণ করা এবং বনজ জীবজন্তুর অবাধ বিচরণ, বৃদ্ধিসহ তা সংরক্ষণ নিশ্চিত করা; সুন্দরবনসহ সকল বন জঙ্গল, পাহাড় পর্বত রক্ষা করা ও প্রকৃতি-পরিবেশ ধ্বংসকারী সকল প্রকল্প বন্ধ করা; জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী দেশগুলোর কাছ থেকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ আদায় করা এবং জল জলা কৃষি জমি সংশ্লিষ্ট সকল কৃষক-ভূমিহীন, শ্রমিক, জেলে, ক্ষেত মজুরের জন্য রেশনিং ও পেনশনের ব্যবস্থা করা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে অপরিকল্পিত শিল্পায়ন, আবাসন ও নগরায়নের নামে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চালাতে গিয়ে আমরা খাদ্য নিরাপত্তা ব্যাহত, জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ ধ্বংস করে চলছি। এ কারণে আমরা প্রতিনিয়ত হারাচ্ছি আবাদি জমি, দখল হচ্ছে খাল নদী, দূষিত হচ্ছে নদীর পানি, টিলা কেটে চলছে মাটি ও পাথরের অবাধ বাণিজ্য। বিশ্বের প্রতিটি দেশের প্রাকৃতিক স্বাভাবিক পরিবেশের জন্য দেশের মোট জমির ২৫-৩৩ শতাংশ বনভূমি থাকার প্রয়োজন, আমাদের আছে মাত্র ৮.২৫ শতাংশ। তাই এখনই প্রয়োজন আমাদের প্রকৃতির আশীর্বাদ দেশের জল জলা জঙ্গল ও কৃষি জমি রক্ষা করা।

মানববন্ধনের উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের আহ্বায়ক সুফল সরকার, শ্রমিক নেতা ফয়েজ হোসেন, জাতীয় নেতা হারুনার রশিদ ভূঁইয়া, সাবেক ছাত্রনেতা নুরুর রহমান জাহাঙ্গীর, আব্দুল মজিদ মল্লিক, পরিবেশ কর্মী হারুনুর রশিদ প্রমুখ।

এমএইচএন/এসকেডি