চট্টগ্রামের বস্তিগুলোতে করোনা প্রতিরোধে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রোববার (২১ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে নগরীর খুলশী ঝাউতলা বস্তিতে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আসিফ খান।  

তিনি বলেন, বিশেষ টিকাদান কর্মসূচির আওতায় প্রথমধাপে ঝাউতলা বস্তির দুই হাজার বাসিন্দাকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিদিন ৫০০ জনকে টিকা দেওয়া হবে। রবি, মঙ্গলবার, বুধ ও বৃহস্পতিবার এ বস্তিতে টিকা দেওয়া হবে। তাদেরকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেওয়া হবে। প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত তাদেরকে টিকা দেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে সব বস্তিবাসীকে টিকার আওতায় আনা হবে। 

কর্মসূচির মাধ্যমে টিকা পেয়ে খুশি বস্তিবাসীরাও। টিকা নেওয়া শাহেদা আক্তার বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে আমাদেরকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। এতে আমরা অনেক খুশি। এতোদিন টিকা দিতে পারিনি। এ নিয়ে মনে একটা ভয় ছিল। এখন টিকা দেওয়ার পর একটা সাহস পাচ্ছি। 

মো. লিটন মিয়া নামের একজন বলেন, আমি টিকা পেয়েছি। টিকা নিয়ে কোনো সমস্যা হয়নি। সরকারের কাছে সকল বস্তিবাসীকে টিকা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।

৬৫ বছর বয়সী গফুর মিয়া বলেন, টিকা নিয়ে খুব ভালো লাগছে। সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ। করোনা নিয়ে ভয়ে ছিলাম। এখন কিছুটা হলেও ভয় দূর হয়েছে। 

এদিকে সোমবার (২২ নভেম্বর) চট্টগ্রামের তৃতীয় লিঙ্গের  ৫০০ জনকে করোনার টিকার আওতায় আনা হচ্ছে। সোমবার দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এ টিকাদান কর্মসূচি চলবে। ডা. মোহাম্মদ আসিফ খান ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আসিফ খান আরও বলেন, মানবিক বিবেচনায় তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীকে করোনার টিকা কর্মসূচির আওতার আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য বিভাগ।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, তৃতীয় লিঙ্গের এ টিকা কর্মসূচিতে সমন্বয়কের দায়িত্বে থাকবেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আসিফ খান, সিভিল সার্জন অফিসের এমও ডা. কাজী ফাহিমা আফরীন ও ডা. মোছা. ফয়জুন্নেছা এবং জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়া।

কেএম/আইএসএইচ/ওএফ