যদি কোনো ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সার্টিফিকেট ছাড়া কোনো চলচ্চিত্র প্রদর্শন করেন তিনি অনধিক ৫ বছরের কারাদণ্ড বা ৫ লাখ টাকা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এমন বিধান রেখে ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন, ২০২১’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। 

সোমবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

এর আগে সকালে মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা বৈঠকে যোগ দেন। 

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এতদিন আমাদের সিনেমাগুলো অনুমোদন করা হতো সেন্সরশিপ অব ফিল্ম অ্যাক্ট- ১৯৬৩ এবং ১৯৭২ সালে একটি অ্যামেনমেন্ড করা ছিল। পরে ২০০৬ সালে আইনটিকে সংশোধন করা হয়েছিল। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে এটাকে মোডিফিকেশন করা হয়েছে যে, আইনটি একচুয়েলি সেন্সরশিপ আইন থাকা ঠিক হবে না, এটা সার্টিফিকেশন আইন হওয়া উচিত। তার একটা পার্ট থাকবে সেন্সর। শুধু সেন্সর থাকলে এখানে অন্যরকম অসুবিধা হয়।’ 

তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর অন্যান্য দেশে এখন সার্টিফিকেশন আইন প্রচলিত। সার্টিফিকেশন আইনে গেলে সেখানে সেন্সর একটা পার্ট থাকবে। সেজন্য ওনারা একটা অ্যামেনমেন্ড নিয়ে এসেছিলেন। এখানে খুব বেশি বা ম্যাসিভ কোনো চেঞ্জ হয়নি। সেন্সরশিপ যে আইনটি ছিল, তার সঙ্গে কিছু-কিছু যোগ করে এ আইনটা নিয়ে আসা হয়েছে।’ 

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আগের মতোই একজন চেয়ারম্যান থাকবেন। ১৪ জন সদস্যসহ মোট ১৫ জনের একটি বোর্ড থাকবে, যারা সার্টিফিকেট দেবে। চলচ্চিত্রের সার্টিফিকেশনের ক্ষেত্রে শ্রেণিবিন্যাস ও মূল্যায়ন পদ্ধতি করা হবে। সেটি বিধি নিয়ে নির্ধারণ করা হবে।’

৭ সদস্যের একটি আপিল বোর্ড থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সেখানে আগের মতোই ক্যাবিনেট সেক্রেটারি সভাপতি থাকবেন।’

আইনের খসড়ায় শাস্তির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যদি কোনো ব্যক্তি সার্টিফিকেশনবিহীন কোনো চলচ্চিত্র বা প্রতীকবিহীন কোনো সার্টিফিকেশন পাওয়া চলচ্চিত্র প্রদর্শন করেন তাহলে সে অপরাধে তিনি অনধিক ৫ বছরের কারাদণ্ড বা ৫ লাখ টাকা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।’ 

আর কোনো ব্যক্তি যদি কোনো চলচ্চিত্রের সার্টিফিকেশন পাওয়ার পর কোনো টেম্পারিং করেন...অনেক সময় যে সিনগুলো সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত না বা সেন্সর না সেগুলো যোগ করেন, তাহলে ২ বছরের কারাদণ্ড অথবা ২ লাখ টাকা জরিমানা হবে, যোগ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

এসএইচআর/জেডএস