মালদ্বীপে অবস্থানরত বাংলাদেশি অবৈধ কর্মীদের বৈধতা দিতে দেশটিকে অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা। এ অনুরোধ রাখার আশ্বাস দিয়েছে মালদ্বীপ।

বুধবার (২৪ নভেম্বর) গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে ইনোভেশন হাবের (ইএটিএল) উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে এ কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

ঢাকায় সফররত মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়সাল নাসিমের সঙ্গে বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, মালদ্বীপে আমাদের অনেক অবৈধ কর্মী আছে। দেশটিকে বলেছি, আমাদের লোকগুলোকে বৈধতা দেওয়ার জন্য। মালদ্বীপ আশ্বাস দিয়েছে, রাজি হয়েছে। তারা বলেছে, প্রবাসী অবৈধ লোকদের সেখানে বৈধকরণ প্রক্রিয়া চালু আছে। 

বেসরকারি হিসাবে মালদ্বীপে বর্তমানে বৈধ-অবৈধ মিলিয়ে প্রায় এক লাখ বাংলাদেশি কর্মী রয়েছে। তাদের বেশিরভাগই দেশটির নির্মাণশিল্পে কর্মরত। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, দেশটিতে ৮০ হাজার বাংলাদেশি কর্মী রয়েছে। 

এদিকে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক বলছে, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গত বছরের এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মালদ্বীপ থেকে ১৫ হাজার ৯৭৭ জন কর্মী দেশে ফেরত এসেছেন। তাদের মধ্যে ২০৫ জন নারী কর্মী ছিলেন।

চট্টগ্রাম ও মালের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচলে উভয়পক্ষ সম্মত হয়েছে জানিয়ে মোমেন বলেন, চট্টগ্রাম ও মালের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচলের বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। মালদ্বীপ রাজি হয়েছে। এটি হলে ব্যবসা বাড়বে। আমাদের এখান থেকে বিভিন্ন জিনিসপত্র সেখানে যাবে। যাতায়াত সুবিধাও বাড়বে। আমরা সম্প্রতি সেখানে ফ্লাইট চালু করেছি। আমরা কানেকটিভিটি বাড়াতে চাই।

তিনি বলেন, আমাদের এখান থেকে ডাক্তার ও নার্স চেয়েছে তারা। ডাক্তার ও নার্স সেখানে যাবে। তারা বিশেষ করে স্পেশালিস্ট চাচ্ছে। কোভিডের সময় আমরা নার্স পাঠিয়েছিলাম।

মন্ত্রী বলেন, মালদ্বীপ আমাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। বাংলাদেশকে প্রতিবেশী দেশগুলো যতদূর সম্ভব অগ্রাধিকার দেয়। তারা আমাদের সমর্থন দেয়, আমরাও তাদের সমর্থন দিই। রোহিঙ্গা ইস্যুতে তারা বিভিন্ন ফোরামে আমাদের সমর্থন দিচ্ছে। 

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মালদ্বীপ সফরে গেলে দেশটির সঙ্গে কয়েকটি চুক্তি হবে বলেও জানান মোমেন।

 

বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন ভারতের রাষ্ট্রপতি

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে প্রতিবেশী দেশের দুজন অতিথিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে বাংলাদেশ। এদের মধ্যে ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। তবে ভুটানের চতুর্থ রাজা (সাবেক) ঢাকা আসার বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

ড. মোমেন বলেন, ‘আমরা ভারতের রাষ্ট্রপতি এবং ভুটানের সাবেক রাজাকে ১৬ ডিসেম্বরের জন্য দাওয়াত দিয়েছি। ইতোমধ্যে ভারত দেশটির রাষ্ট্রপতির বাংলাদেশ সফর নিশ্চিত করেছে। তবে এখনো ভুটানের পক্ষ থেকে দেশটির সাবেক রাজার সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।’

আগামী ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠান হবে। ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের পূর্তি হবে পাঁচ দশকের। ইতিহাসের এই সন্ধিক্ষণ উপলক্ষে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে ঢাকায় আসবেন ভারতের রাষ্ট্রপতি। ১৬ ডিসেম্বর তিনি ঢাকায় বিজয় দিবসের বিশেষ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

কূটনৈতিক সূত্র বলছে, ভারতের রাষ্ট্রপতির বাংলাদেশ সফর তিন দিনের হচ্ছে। রামনাথ কোবিন্দের ১৫ ডিসেম্বর ঢাকায় আসার কথা রয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। এর পরদিন তিনি দেশে ফিরে যাবেন।

এনআই/আরএইচ/জেডএস/জেএস