করোনায় মানুষের বিভীষিকা দেখে টিকা নিয়েছি: ডা. নন্দিতা
ডা. নন্দিতা পাল /ছবি- ঢাকা পোস্ট
মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে করোনাভাইরাসের প্রথম টিকা নিয়েছেন এই হাসপাতালের ডাক্তার নন্দিতা পাল। তিনি বলেন, করোনার সময় আমরা মানুষের বিভীষিকা দেখেছি। খুব কাছ থেকে তাদের চিকিৎসা দিয়েছি। তাই টিকা নেওয়ার আগে মনে হয়েছে, জীবন-মৃত্যু মধ্যে সেতুর এপার অথবা ওপার।
বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় টিকা নেওয়ার পর ঢাকা পোস্টকে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে বেলা ১০টায় হাসপাতালে টিকা প্রয়োগের কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। মুগদা হাসপাতালে ৬০ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে টিকা দেওয়া হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
ডা. নন্দিতা পাল বলেন, টিকা নেওয়ার আগে মনে হয়েছে সেতুর এপার-ওপার। কিন্তু টিকা নেওয়ার পর সুস্থ বোধ করছি। আসলে এই টিকা তো পরীক্ষিত। সুতরাং ভয় পাওয়ার তেমন কিছু নেই। কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তো থাকবেই।
তিনি আরও বলেন, আমাদের এখানে চারটি বুথে টিকা দেওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ২০ জনকে দেওয়া হয়েছে। আজ মোট ৬০ জনকে টিকা দেওয়া হবে। যারা টিকা নিয়েছেন তাদের প্রত্যককে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। আগামী ২৯ মার্চ টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে।
বিজ্ঞাপন
মানুষকে টিকা নিতে ভয় না পাওয়ার আহ্বান জানিয়ে ডা. নন্দিতা বলেন, এই টিকা পরীক্ষিত। এটা নিরাপদ। টিকা নিয়ে কোনও গুজবে কান দিবেন না। আশা করব টিকা আসায় মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে করোনাকে মোকাবিলা করবে।
এরআগে দেশে বুধবার (২৭ জানুয়ারি) রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু বেরুনিকা কস্তাকে প্রথম টিকা দেওয়ার মাধ্যমে করোনার টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশে দেওয়া হচ্ছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকা। আট সপ্তাহের ব্যবধানে এ টিকার দুটি ডোজ নিতে হবে। বাংলাদেশে যেহেতু এ টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হয়নি, তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুযায়ী প্রথম দফায় ঢাকার পাঁচটি হাসপাতালে নির্দিষ্ট সংখ্যক ব্যক্তির উপর এ ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে তাদের পর্যবেক্ষণ করা হবে।
এএইচআর/ওএফ