বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশ দূতাবাস হ্যানয় তৃতীয়বারের মতো স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি পালন করেছে। শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ দূতাবাস, কেন্দ্রীয় মিলিটারি হসপিটাল, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, হ্যানয়ের সহযোগিতায় এ রক্তদান কর্মসূচি পালন করা হয়।

রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ নিজে রক্তদানের মাধ্যমে এ কর্মসূচির সূচনা করেন। দূতাবাসের কর্মচারী ও ভিয়েতনামের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা স্বেচ্ছায় এ রক্তদান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ দূতাবাসের অনুরোধে ভিয়েতনামের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা রক্তদান কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।

ভিয়েতনামের কেন্দ্রীয় মিলিটারি হসপিটাল কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ দূতাবাস এবং রাষ্ট্রদূতের প্রশংসা করেন। হসপিটাল কর্তৃপক্ষ থেকে বলা হয়, রক্তদান একটি মহৎ মানবিক কাজ। এ কাজে এগিয়ে আসায় বাংলাদেশ-ভিয়েতনাম বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক যেমন আরও গভীর হবে, তেমনি স্বেচ্ছায় সংগৃহীত রক্ত অনেক পীড়িত ও অসহায় মানুষকে সহায়তা করবে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে স্বাধীনতা অর্জন ও দেশ গঠনে যে অবিস্মরণীয় নেতৃত্ব ও অবদান রেখেছেন। স্বেচ্ছায় রক্তদান করে বাংলাদেশ দূতাবাস এ মহান নেতার প্রতি তাদের বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছে। বঙ্গবন্ধুর আত্ম উৎসর্গের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও সম্মানের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে বাংলাদেশ দূতাবাস এ মানবিক কর্মে উদ্দীপ্ত হয় এবং আগেও মুজিববর্ষে আরও দুই বার স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি গ্রহণ করে। রাষ্ট্রদূত এ কর্মসূচি বাংলাদেশ-ভিয়েতনাম বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের একটি গভীর নিদর্শন হিসেবে উল্লেখ করেন।

মুজিববর্ষে এর আগে গত ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে প্রথম বার কেন্দ্রীয় মিলিটারি হসপিটালে এবং শোকাবহ আগস্টে গত ৩০ আগস্ট ভিয়েত ডাক ইউনিভার্সিটি হসপিটালে দ্বিতীয়বার স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করে বাংলাদেশ দূতাবাস।  

এনআই/এসএসএইচ