ঢাকা ইম্পিরিয়াল কলেজের এক ছাত্রীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় রাইদা পরিবহনের আটক করা ৪০টি বাস ছেড়ে দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। পুলিশের মধ্যস্থতায় মালিকপক্ষ শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ায় বাসগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়।

সোমবার (২৯ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে রামপুরা থানায় ইম্পিরিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী ও রাইদা পরিবহনের মালিক পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রামপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুপুরের দিকে ইম্পিরিয়াল কলেজের এক ছাত্রীকে  রামপুরা পুলিশ বক্সের সামনে নামার সময় রাইদা বাসের হেলপার ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ ওঠে। এ খবর প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে তারা সংঘবদ্ধ হয়ে রামপুরা বিটিভি ভবনের সামনের রাস্তায় অবস্থান নেয় এবং রাইদা পরিবহনের ৪০টি বাস আটকে দেয়। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করি। আলোচনায় অংশ নিতে রাইদা পরিবহনের একজন পরিচালক থানায় আসেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা রাইদা পরিবহনের পরিচালকের কাছে বেশ কয়েকটি দাবি উত্থাপন করেন। এসব দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন রাইদা পরিবহনের পরিচালক মকবুল পাটুয়ারী।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির মধ্যে ছিল আজকের ঘটনায় দায়ী হেলপারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ কোনো যাত্রীর সঙ্গে অশোভন আচরণ করা যাবে না, সকলের কাছ থেকেই ন্যায্য ভাড়া নিতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাফ ভাড়া নিতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে রাইদা পরিবহন কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট চালক ও হেলপারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

ওসি রফিকুল বলেন, ঘটনার প্রথম দিকে আমরা জানতে পেরেছিলাম শিক্ষার্থীরা ১৫টির মতো বাস আটকে রেখেছিল। পরে শিক্ষার্থীরা জানান, তারা রাইদা পরিবহনের ৪০টির বেশি বাস আটকে রাখেন।

এমএসি/এসকেডি/জেএস