সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. আ. আহাদ

রাজধানীর রামপুরায় সড়কে মাইনুদ্দীন নামে এক শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় বাসের চালক ও হেলপারকে আটক করেছে পুলিশ। ঘাতক বাসটিও জব্দ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় বাসে আগুন দেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সোমবার রাতে দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. আ. আহাদ।

তিনি বলেন, ঘটনার পর চালক ও হেলপার পালিয়ে যাচ্ছিল। পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে তাদের আটক করে। তারা বর্তমানে থানায় আছে। বাসটিও জব্দ করা হয়েছে।

এ ঘটনার জেরে আটটি বাসে আগুন দেওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিসি বলেন, আমরা যতদূর জানি উত্তেজিত জনতা এ আগুন ধরিয়েছে। তবে সুযোগসন্ধানী কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আগুন দিয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে। 

তিনি বলেন, আমরা নিহতের ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনিও বলেছেন তারা ভাঙচুর বা আগুন দেননি। অন্য কেউ এসে এসব করিয়েছে। এ ধরনের ঘটনা কাম্য নয়।

বর্তমানে রামপুরা-মালিবাগের সড়কটিতে বন্ধ থাকা যান চলাচল কখন চালু হবে, এ প্রশ্নের জবাবে ডিসি বলেন, সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট ঘটনাস্থলে আসছে। ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ ও তাদের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করার পর সড়কটি খুলে দেওয়া হবে।

রাত পৌনে এগারোটার দিকে রাজধানীর রামপুরা এলাকায় অনাবিল পরিবহনের বাসের চাপায় একরামুন্নেসা স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থী মাইনুদ্দীন ইসলাম নিহত হওয়ার ঘটনায় সড়ক অবরোধ করে উত্তেজিত জনতা। এ সময় ঘাতক বাসসহ আটটি বাসে আগুন দেয় তারা।

এমএসি/এআর/আরএইচ