গ্রিন অনাবিল পরিবহনের বাসের চাপায় এসএসসি পরীক্ষার্থী মাইনুদ্দিন নিহতের ঘটনায় রামপুরা ব্রিজ এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। এ সড়কে সবধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হলেও প্রমাণসাপেক্ষে জরুরি সেবার পরিবহন ছেড়ে দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে রয়েছে অ্যাম্বুলেন্স, ডাক্তার, সরকারি জরুরি সেবায় নিয়োজিত গাড়ি, দূরপাল্লার যাত্রীদের গাড়ি।

মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে একজন পুলিশ সদস্য ইয়ামাহা এমটি-১৫ মডেলের মোটরসাইকেল নিয়ে বাড্ডা লিংক রোড এলাকা থেকে রামপুরা ব্রিজ এলাকায় আসেন। এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তার ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখতে চান। লাইসেন্স না দেখিয়ে পুলিশ সদস্য হিসেবে তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলেন।

কিন্তু এতে শিক্ষার্থীরা রাজি হননি। পরে ওই পুলিশ সদস্য লাইসেন্স নেই জানিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পোশাকে থাকা নেমপ্লেট খুলে ফেলেন। তিনি হাত উঁচিয়ে শিক্ষার্থীদের ধাক্কা দিতে থাকেন তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। শিক্ষার্থীরা মোটরসাইকেলসহ তাকে ঘিরে ধরেন।

শিক্ষার্থীরা তখন ‘পুলিশ ভুয়া, ভুয়া’ স্লোগান দিয়ে তাকে রামপুরা পুলিশ বক্সের সামনে নিয়ে আসেন। সেখানে কর্মরত অফিসারের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করেন এবং তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান। তবে উপস্থিত কর্মকর্তারা কোনো আইনি ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো ওই পুলিশ সদস্যকে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মুক্ত করে বক্সের ভেতরে নিয়ে যান। এরপর শিক্ষার্থীরা পুলিশ বক্স ঘিরে ফেলেন।

ওই পুলিশ সদস্যের মোটরসাইকেলের সামনের দিকে শুধু ‘পুলিশ’ লেখা। কোনো নম্বর প্লেট নেই।

এ বিষয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা যখন বুঝতে পেরেছি ওনার কাছে লাইসেন্স নেই, সঙ্গে সঙ্গে তিনি নেমপ্লেট খুলে ফেলেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা যদি আইন না মানেন তাহলে আমরা নিরাপদ সড়ক কীভাবে পাব?

এমএসি/এমএইচএস/জেএস