নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে নারীদেরই রুখে দাঁড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সালমা আলী।

তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিটি ক্ষেত্রেই উদ্বেগজনক হারে বেড়ে চলছে। এখনই সময় নারীদের রুখে দাঁড়াতে হবে।

বুধবার (১ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি আয়োজিত ‘বাংলাদেশে যৌন হয়রানি : বর্তমান প্রেক্ষাপট ও প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন তিনি।

সালমা আলী বলেন, বাংলাদেশের প্রায় ৮৪ শতাংশ নারী ক্রমাগত রাস্তা, যানবাহনে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, কর্মক্ষেত্রে এমনকি বাড়িতেও যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের অক্টোবর পর্যন্ত মোট ধর্ষণের ঘটনার সংখ্যা ১ হাজার ১৮২টি (ধর্ষণ ৯৫৫টি, গণধর্ষণ ২২০টি, ধর্ষণের চেষ্টা ২৫৯টি)।

গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা বলেন, আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রতিদিনই দেখছি নারীরা তাদের কর্মক্ষেত্রে কোনো না কোনোভাবে যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। দেশের প্রত্যেক কর্মক্ষেত্রেই যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি নিশ্চিত ও কার্যকর করা গেলে নারীদের প্রতি এই ধরনের সহিংসতার ঘটনা রোধ করা সম্ভব। নারীরা যৌন হয়রানির শিকার হলেও চাকরি হারানোর ভয়ে, সামাজিকভাবে হেয় হওয়ার ভয়ে অভিযোগ করতে পারেন না। এক্ষেত্রে নারীর প্রতি সমাজের সকলের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি আনতে হবে।

তারা আরও বলেন, অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত না করার ফলে ধর্ষণ ও সহিংসতার ঘটনা বেড়ে চলেছে। বাংলাদেশে যৌন হয়রানির বর্তমান পরিস্থিতিতে সারাদেশে নারীরা অসহায়। তাদের পাশে দাঁড়িয়ে সোচ্চার হওয়ার মতো কাউকে তারা পান না। বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি সমসাময়িক যৌন হয়রানি ও সহিংসতার ঘটনায় উদ্বিগ্ন এবং বর্তমানে সংঘটিত সকল যৌন হয়রানি ও সহিংসতার অপরাধের জন্য দায়ী অপরাধীদের গ্রেফতার ও দ্রুত বিচার দাবি করছে।

গোলটেবিল বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোবায়দা পারভিন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ট্রেজারার ড. রাশেদা আক্তার প্রমুখ।

এমএইচএন/এসকেডি