ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শতবর্ষপূর্তি ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের উদ্বোধনী দিনের দ্বিতীয় পর্বে আজ (১ ডিসেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ এফ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী এতে সভাপতিত্ব করেন। আলোচনায় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, ডাকসুর সাবেক সহ-সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, দি ডেইলি অবজারভারের সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার অংশগ্রহণ করেন।

আলোচনা সভায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় সম্মানীয় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

এ সময় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ৫২’র ভাষা আন্দোলন, বাঙালির মুক্তি সংগ্রাম, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ, জনগণের অধিকার আদায়, নারী জাগরণ, নারী শিক্ষা বিস্তারসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বাংলাদেশ জাতি রাষ্ট্র গঠনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান অনন্য। শিক্ষার আলো ছড়িয়ে বাঙালি জাতির উন্নয়নে এ বিশ্ববিদ্যালয় সবসময় পথ দেখিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস-ঐতিহ্য ধারণ ও লালনের তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।

দি ডেইলি অবজারভারের সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, দেশের সকল গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক আন্দোলনের সূতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয় শুধু জ্ঞান ও শিক্ষা বিস্তারেই ভূমিকা রাখেনি বরং দেশের সার্বিক উন্নয়নে রয়েছে এর অনন্য অবদান।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, জন্মলগ্ন থেকেই ঢাবির সঙ্গে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আত্মিক সম্পর্ক। জ্ঞান-বিজ্ঞান ও মেধা চর্চায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলছে।

সভাপতির ভাষণে ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ এফ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ঢাবি আমাদের মাতৃসম প্রতিষ্ঠান। এই বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের সর্বদা মুক্তির পথ দেখিয়েছে। পশ্চাৎপদ সমাজ পরিবর্তনের এক ঐতিহাসিক প্রয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। সামাজিকতা, গণতান্ত্রিকতা ও ধর্মনিরপেক্ষতার শিক্ষা এখান থেকেই আমরা শিখেছি।

এইচআর/এমএইচএস