ডাক, টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যার শতকরা ৬৫ ভাগের বয়স ৩০ বছরের নিচে। তোমাদের মেধা দক্ষতার ওপর বাংলাদেশের সমৃদ্ধি নির্ভর করবে। তোমাদের প্রত্যেকেরই ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এ দক্ষতা তুমি অর্জন করবে, তবে অপব্যবহার করবে না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত পাঁচ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা কোনো দিন কোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথা নত করেছে, এ দৃষ্টান্ত অন্তত আমার জানা নেই। শিক্ষকরা তাদের সন্তানদের বিপদে যেভাবে আগলে ধরেছেন, এমনকি যারা পাকিস্তানপন্থী শিক্ষক তারাও আমাদের বিভিন্নভাবে সহায়তা করেছেন। আমাদের আজকের যে গড়ে ওঠা তার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা আমাদের শিক্ষকদের।

তিনি বলেন, বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার জন্য যে চাকার প্রয়োজন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেই ভূমিকা পালন করছে। দেশে এমন কোনো খাত নেই, যেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নেই।

দক্ষতা ও মানসিকতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষকদের পূর্বপুরুষদের পথে চলার পরামর্শ দিয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, আপনারা পূর্বপুরুষদের পথ ধরেই হাঁটবেন। তাদের পথ অনুসরণ করলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে কেবল বাংলাদেশের নয়, সারা পৃথিবীর রত্ন হিসেবেই গড়ে তুলতে পারবেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এমিরেটাস অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের অনারারি অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক ও বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু প্রমুখ।

এইচআর/এসকেডি