পে কমিশন গঠন করে বৈষম্যমুক্ত ৯ম পে-স্কেল বাস্তবায়ন ও পে-স্কেল বাস্তবায়নের আগে অন্তর্বর্তী সময়ে ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারীদের ৫০ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতা দেওয়াসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ। এসব দাবি চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করা না হলে ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের ১৫ তারিখ থেকে আটটি বিভাগে ধারাবাহিকভাবে মহাসমাবেশ করা হব। এছাড়া আগামী ২৮ জানুয়ারি রাজধানীতে গণকর্মচারী মহাসমাবেশ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগঠনটি।

শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এসব দাবি ও হুঁশিয়ারি কথা জানান বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের মুখ্য সমন্বয়ক মো. ওয়ারেছ আলী।

পরিষদের অন্যান্য দাবিগুলো হচ্ছে— ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা অনুযায়ী ১০ ধাপে বেতন স্কেল নির্ধারণসহ পে কমিশনে কর্মচারী প্রতিনিধি রাখতে হবে; সচিবালয়ের মতো সব দফতর, অধিদফতরের পদ ও পদবি পরিবর্তনসহ এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়ন করতে হবে; টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড, বেতন জ্যেষ্ঠতা পুনর্বহালসহ বিদ্যমান গ্রাচ্যুইটি/আনুতোষিকের হার ৯০ শতাংশের পরিবর্তে ১০০ শতাংশ নির্ধারণ ও পেনশন গ্রাচ্যুইটি ১ টাকা = ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা; আউট সোর্সিং পদ্ধতি বাতিল করে ওই পদ্ধতিতে নিয়োগ করা ও উন্নয়ন খাতের কর্মচারীদের রাজস্বখাতে স্থানান্তর করতে হবে; বাজারমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির সাথে সমন্বয় করে সব ভাতা পুনর্নির্ধারণ করতে হবে। চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর ও অবসরের বয়সসীমা ৬২ বছর নির্ধারণ করতে হবে এবং ব্লক পোস্টে কর্মরত কর্মচারীসহ সব পদে কর্মরতদের পদোন্নতি বা পাঁচ বছর পর পর উচ্চতর গ্রেড দিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক মো. মাহমুদুল হাসান প্রমুখ।

এমএইচএন/এসএসএইচ