ড. কামাল সংবিধান রচয়িতা নন, দাবি বিচারপতি মানিকের
আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেছেন, অনেকেই বলে থাকেন ড. কামাল হোসেন সংবিধান রচয়িতা। এটা যে কত বড় একটা ভুল কথা, মিথ্যা কথা সেটা কিন্তু অনেকেই জানেন না। সংবিধান রচনা করেছেন ৩৪ জন ব্যক্তি, কামাল হোসেন সেই ৩৪ জন ব্যক্তির একজন মাত্র। যেহেতু তিনি আইন মন্ত্রী ছিলেন, সে জন্য তিনি ওই কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। চেয়ারম্যান কিন্তু সংবিধান রচনা করেন না।
শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে কম্বাইন্ড হিউম্যান রাইটস ওয়ার্ল্ড আয়োজিত বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
বিচারপতি মানিক বলেন, বঙ্গবন্ধু এটা পরিষ্কারভাবে বলেছিলেন ১৯৪৮ সালের আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদের যে কথাগুলো আছে তার সবগুলো আমাদের সংবিধানে স্থান পেতে হবে। আমাদের সংবিধানে ২৬ থেকে ৪৪ এই ১৮টি অনুচ্ছেদে মানবাধিকার সনদের সব কথাই নিশ্চিত করা আছে। মানবাধিকার লঙ্ঘিত হলে হাইকোর্টে যেন রিট করতে পারেন সে ব্যবস্থা করে গেছেন বঙ্গবন্ধু।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের উদ্দেশ্যে রাজাকারের ছেলে রাজাকার হয় এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, সাকার ছেলে সাকাই হয়েছে। ঠিক ওইভাবেই চখা মিয়ার ছেলে মির্জা ফখরুল হয়েছে। তার পুরো বংশ কিন্তু রাজাকারের বংশ। এই গোটা গোষ্ঠী রাজাকারের গোষ্ঠী। বিএনপি নেতাদের ডিএনএ নেন, দেখবেন তাদের মধ্যে রাজাকারের রক্ত রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মরে বেঁচে গেছেন এমন মন্তব্য করে সাবেক এই বিচারপতি বলেন, জিয়া শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেনি এই সংবিধানকেও হত্যা করেছিলেন। যার ফলে আমাদের সুপ্রিমকোর্টে জিয়াকে দেশদ্রোহী বলে উল্লেখ করেছেন। এবং অপর একটি মামলায় আমাদের সুপ্রিমকোর্ট জিয়াকে ঠান্ডা মাথার খুনি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। যা আমাদের রেকর্ড আছে।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সাংসদ মোহাম্মদ শফিকুর রহমান, আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, সংরক্ষিত মহিলা সাংসদ তামান্না নুসরাত বুবলী, মানবাধিকারকর্মী মমতাজ লতিফ, বোয়াফ সভাপতি কবির চৌধুরী তন্ময় এবং কম্বাইন্ড হিউম্যান রাইটস ওয়ার্ল্ডের চেয়ারম্যান এম এস সোহেল আহমেদ মৃধা।
এমএইচএন/আইএসএইচ