কানাডার পর দুবাইয়ে ঢুকতে ব্যর্থ হওয়া সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান দেশে ফিরেছেন। রোববার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টা ৫১ মিনিট নাগাদ এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি দেশে ফেরেন। ইতোমধ্যে তার (ডা. মুরাদ) ইমিগ্রেশনের যাবতীয় কার্যক্রম শেষ হয়েছে।

সবশেষ খবর অনুযায়ী (সন্ধ্যা ৬টা), বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে বসে অপেক্ষা করছেন ডা. মুরাদ। ভিআইপি লাউঞ্জের বাইরে সাংবাদিকরা তার বক্তব্য নেওয়ার অপেক্ষায় আছেন। যদিও তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন কি না তা এখনো নিশ্চিত নয়।

ইমিগ্রেশনে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ডা. মুরাদকে বেশ কিছু বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, কানাডায় ঢুকতে চেয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর মুরাদ হাসান দুবাইয়ের ভিসা পাওয়ার চেষ্টায় ছিলেন। কিন্তু দুবাইয়ের ভিসা না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত দেশে ফিরে আসেন তিনি।

এদিকে করোনার ডাবল ডোজ টিকার সনদ না থাকায় ডা. মুরাদ হাসান কানাডা ঢুকতে পারেননি বলে জানা গেছে। প্রশ্ন উঠেছে, ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট ও কোভিড প্রোটোকল না মেনে মুরাদ হাসান কীভাবে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে কানাডায় গেলেন?

এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী এবং হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক এ এইচ এম তৌহিদ-উল আহসানকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা।

রোববার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে এই প্রশ্নের উত্তরে তৌহিদ-উল আহসান বলেন, বিমানবন্দর দিয়ে যে যাত্রীই বাইরের দেশে যান, সেসব বহির্গমন যাত্রীদের স্বাস্থ্য সনদ চেক করা, ভ্যাকসিনেশন সার্টিফিকেট চেক করার দায়িত্ব সিভিল এভিয়েশনের। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের নয়। আমরা ইমিগ্রেশন করি, যাত্রীদের সেবা দিই। ইমিগ্রেশন শাখা ইমিগ্রেশন করবে, স্বাস্থ্যের কাজ স্বাস্থ্য করবে। মুরাদ সংক্রান্ত তথ্য জানতে হলে আপনাদের যথাযথ কর্তৃপক্ষকে প্রশ্ন করলে তারা ভালো উত্তর দিতে পারবেন।

এআর/জেইউ/জেডএস/জেএস