অভিবাসন প্রত্যাশী নারীদের ৩ মাসব্যাপী প্রশিক্ষণের সুপারিশ
অভিবাসন প্রত্যাশী নারীদের জন্য গন্তব্য দেশ অনুযায়ী যুগোপযোগী তিন মাসব্যাপী আবাসিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করাসহ ১২ দফা সুপারিশ জানিয়েছে অভিবাসী নারীদের নিয়ে কাজ করা ৩টি সংগঠন।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) সিরডাপে নারী অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় করণীয় বিষয়ক জাতীয় পর্যায়ের মতবিনিময় সভা থেকে এসব সুপারিশ জানানো হয়। এশিয়া প্যাসিফিক ফোরাম অন ওম্যান, ল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের সহযোগিতায় মতবিনিময় সভার আয়োজন করে কর্মজীবী নারী, সবুজ অভিযান এবং ডব্লিউএআরবিই ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন।
বিজ্ঞাপন
সংগঠনগুলোর অন্যান্য সুপারিশগুলো হচ্ছে— নারীর অভিবাসন নিরাপদ করতে বিদেশ যাওয়ার পর তার সঙ্গে যোগাযোগের ব্যবস্থা রাখা। অভিবাসী নারীর সাথে যেন অবশ্যই ফোন থাকে ও সরকারিভাবে তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা; চড়া সুদে ঋণ গ্রহণ ঠেকাতে ভিসা অনুমোদনের পরপরই সরকারি ঋণ সুবিধার ব্যবস্থার করা; নারীর অভিবাসন নিরাপদ করতে ও বৈধ অভিবাসনের জন্য ওয়ার্ড পর্যায়ে অভিবাসন সেল গঠন করা ও স্থানীয় সরকার পর্যায়ে পাসপোর্ট অফিস থাকা; দালালের প্রভাব কমাতে থানা পর্যায়ে এজেন্সির শাখা থাকা; একেকটি সেবা পেতে একেক যায়গায় যাওয়ার অসুবিধা দূর করতে সরকারিভাবে একটি সমন্বিত সংস্থার ব্যবস্থা করা; বিদেশে অভিবাসীদের নিয়ে সরকারিভাবে মত বিনিময় সভা করা; শ্রম শোষণ বন্ধে বিদেশে নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা ও ছুটির ব্যবস্থা করা; নির্যাতন বন্ধে গন্তব্য দেশের সঙ্গে সমন্বয় করে উদ্যোগ গ্রহণ করা; দেশে ফেরার পর অভিবাসী নারীর জন্য মনো-সামাজিক কাউন্সিলিং, উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা; সামাজিক বিচ্ছিন্নতা রোধে বিদেশ ফেরত অভিবাসী নারীদের কমিউনিটি তৈরি করা এবং অভিবাসী নারীকে সমাজে স্বাভাবিক দৃষ্টিতে দেখার জন্য কমিউনিটি পর্যায়ে সচেতনতা বাড়ানো।
মতবিনিময় সভায় কর্মজীবী নারীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সংসদ সদস্য শিরীন আখতার বলেন, দেশ ৫০ বছরে উত্তরণ হয়েছে। কিন্তু নারীদের অবস্থান আজ কোথায়? এটি একটি মৌলিক প্রশ্ন। কেননা স্বাভাবিকভাবেই দেখা যায়, স্বাধীনতার ৫০ বছরে দেশ অনেক এগিয়ে গেলেও দেশের নারীরা এখনো অনেক পিছিয়ে।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, সংবিধান নারীকে সমান অধিকার দিয়েছে। কিন্তু আমরা কি এগোতে পেরেছি? নারী বলে এখনও আমাদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আমাদের সবার দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। একজন নারী অনেক মর্যাদা নিয়ে কাজে যাচ্ছেন। তাই আমাদের নিজেদেরও নারীদের সঠিকভাবে তৈরি করতে হবে।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কর্মজীবী নারীর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর সানজিদা সুলতানা, সবুজের অভিযান ফাউন্ডেশনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মাহমুদা বেগম, ওয়্যারবী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুল হক, কর্মজীবী নারীর রিসার্চ কো-অর্ডিনেটর ফারহানা আফরিন তিথি প্রমুখ।
এমএইচএন/এমএইচএস