১ ডিসেম্বরকে মুক্তিযোদ্ধা দিবস ঘোষণার দাবি
১ ডিসেম্বরকে মুক্তিযোদ্ধা দিবস হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সংগঠনগুলো।
আজ বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এ দাবি করেন।
বিজ্ঞাপন
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) গোলটেবিল মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধা দিবস বাস্তবায়ন পরিষদ, মুক্তিযুদ্ধের জাতীয় বিজয় মঞ্চ এবং ওয়ান্ডার্স মিলিয়ার যৌথভাবে এই সেমিনার আয়োজন করে।
মুক্তিযোদ্ধা দিবস প্রস্তাবক ও মুক্তিযোদ্ধা দিবস বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক মেজর (অব.) ডা. কবি শেখ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রম আপিলেট ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচারপতি এম ফারুক। এছাড়া সাবেক উপমন্ত্রী ও ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক সিদ্দিকী বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আবদুল আহাদ চৌধুরী স্বাগত বক্তব্য রাখেন। মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন মুক্তিযোদ্ধা দিবস বাস্তবায়ন পরিষদের কো-চেয়ারম্যান লায়ন ডা. আফরোজা হাবিব হ্যাপি।
বক্তারা বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণীয় করে রাখতে বিজয়ের মাসের প্রথম দিনটি মুক্তিযোদ্ধা দিবস ঘোষণা ও রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের দাবিটি যৌক্তিক। যাদের ত্যাগ ও সংগ্রামের বিনিময়ে বাংলাদেশের জন্ম, তাদের বিশেষভাবে স্মরণ করতে ও শ্রদ্ধা জানাতে একটি দিবস থাকা দরকার। ১ ডিসেম্বরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে মুক্তিযোদ্ধা দিবস ঘোষণার দাবি প্রায় দুই দশকের। বিষয়টি নিয়ে কারও আপত্তি না থাকলেও অজ্ঞাত কারণে বাস্তবায়ন হচ্ছে না।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগের মহাসচিব ও ওয়ান্ডার্স মিডিয়ার চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান, জাতীয় জাগো নারী ফাউন্ডেশনের সভাপতি মিসেস রেহানা আক্তার রেনু, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক ডিআইজি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আনোয়ার হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা হেদায়াতুল বারী প্রমুখ।
আরএম/এইচকে