জ্বালানি, জলবায়ু পরিবর্তন ও টেকসই উন্নয়নবিষয়ক ‘বাপা–বেন বার্ষিক সম্মেলন ২০২২’ স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে। দুইদিন ব্যাপী এ সম্মেলনের দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি। ভার্চুয়ালি ও সশরীর- উভয়ভাবেই সম্মেলনে অংশ নেওয়া যাবে।

শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সম্মেলন আয়োজন কমিটির সদস্য সচিব শরীফ জামিল। সম্মেলনে উপস্থাপনের জন্য মোট ১২টি বিষয়ে প্রবন্ধ আহ্বান করেছেন তিনি।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সভাপতি ও সম্মেলন আয়োজন কমিটির প্রধান সুলতানা কামাল বলেন, বিশ্বের কাছে সারাক্ষণ কান্নাকাটি করছি, আমরা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ। সেই ক্ষতির পরিমাণ আমরা সুন্দরবন ধ্বংস করে বাড়াচ্ছি; নদী দখল করে, নষ্ট করে বাড়াচ্ছি। যেখানে-সেখানে যেকোনো কিছু তৈরি করে ক্ষতি বাড়াচ্ছি।

তিনি বলেন, আমাদের আত্মসম্মানেরও প্রশ্ন যে, আমরা তাদের কাছে অনবরত অর্থ চাচ্ছি। ক্ষতি থেকে বের হয়ে আসার জন্য অর্থ দাও। এ দিকে আমরা আবার সবকিছু ধ্বংস করে ফেলছি। তা তো হতে পারে না।  দ্বৈত নীতি থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে।

তিনি আরও বলেন, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এমন এক জায়গায় করা হয়েছে, যেটা ঘনবসতিপূর্ণ। পাবনার ঈশ্বরদীর সেই জায়গা এখন পর্যটনকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে, অনেকেই ঘুরতে যান। অথচ সেটা যে কত বড় ঝুঁকি হিসেবে তৈরি হয়ে আছে, সেটি আমরা অনুধাবন করতে পারছি না।

দেশের নীতিনির্ধারকদের একাকী সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রবণতা রয়েছে উল্লেখ করে সুলতানা কামাল বলেন, জ্বালানি বিষয়ে নীতি প্রণয়নের আগে নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে গবেষক ও বিজ্ঞানীদের আলোচনা করা দরকার। কারণ সেই নীতি জনবান্ধব না হলে তার নেতিবাচক প্রভাব ব্যক্তি পর্যায়ে পড়ে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, বাপার যুগ্ম সম্পাদক ও ব্রতীর প্রধান নির্বাহী শারমীন মুরশিদ। ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্ট নেটওয়ার্কের (বেন) প্রতিষ্ঠাতা ও সম্মেলন আয়োজক কমিটির কো–চেয়ারপার্সন নজরুল ইসলাম, কারিগরি অধিবেশন কমিটির সহযোগী আহ্বায়ক অধ্যাপক আহমেদ বদরুজ্জামান।

এমএইচএন/আরএইচ