রাজধানীর বনানীর চেয়ারম্যানবাড়ি এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হয়ে বিজিবির অবসরপ্রাপ্ত সদস্য মনোরঞ্জন হাজংয়ের গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় পাল্টা জিডি করেছেন সংশ্লিষ্ট গাড়ির চালক সাইদ হাসান। জিডিতে তিনি সার্জেন্ট মহুয়ার আহত বাবা মনোরঞ্জনের ওপর দুর্ঘটনার দায় চাপিয়েছেন। গত ১৪ ডিসেম্বর এই জিডি করা হয় বলে দাবি করছে বনানী থানা পুলিশ।

দুর্ঘটনায় পা হারানো মনোরঞ্জন হাজং উল্টো দিক থেকে তার গাড়িতে ধাক্কা দিয়েছে বলে জিডিতে উল্লেখ করেন সাঈদ হাসান। আজ শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেন বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আজম মিয়া।

উল্লেখ্য, বনানী থানায় জিডি করা সাইদ হাসান নামে এই গাড়িচালক এক বিচারপতির ছেলে। দুর্ঘটনার বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের মামলা নিতে পুলিশ প্রথমে গড়িমসি করে। পরে প্রায় ১৩ দিন পর মামলা নেয় বনানী থানা।

শনিবার রাতে বনানী থানার ওসি বলেন, সাঈদ হাসান দুর্ঘটনার বিষয়ে গত মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) একটি জিডি করেন। এ ঘটনায় সার্জেন্ট মহুয়া বাদী হয়েও একটি মামলা করেছেন। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি। এছাড়া যে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় মনোরঞ্জন হাজং গুরুতর আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করা হচ্ছে সেই গাড়িটির মালিকানা কার তা জানতে ইতোমধ্যে আবেদন করেছি।

জানা গেছে, সাঈদ হাসান জিডিতে অভিযোগ করেন, তার গাড়িটি মনোরঞ্জনের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়নি। বরং তার গাড়িতে বেআইনিভাবে উল্টো দিক থেকে এসে মনোরঞ্জনই ধাক্কা দেন। এতে তিনি ও তার স্ত্রীর প্রাণহানির মতো অবস্থা তৈরি হয়েছিল। তাই উল্টো পথে মোটরসাইকেল চালানোর জন্য এই দুর্ঘটনার দায়-দায়িত্ব মনোরঞ্জনের ওপরই বর্তায়।

সাঈদের জিডির বিষয়ে মনোরঞ্জনের ভাইয়ের ছেলে মনিরাজ হাজং ঢাকা পোস্টকে বলেন, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, মোটরসাইকেলটি ইউটার্নের জন্য দাঁড়িয়ে ছিল। তখন পেছন থেকে দ্রুতগতির একটি প্রাইভেটকার এসে ধাক্কা দেয়। যা ইতোমধ্যে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বিচারপতির ছেলে জিডিতে যা লিখেছে তা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও মিথ্যা।

এ সময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিচারপতির ছেলের বানোয়াট ও মিথ্যা জিডি গ্রহণ করেছে পুলিশ। কিন্তু সার্জেন্ট মহুয়া যে আসামির নাম উল্লেখ করে মামলাটি করতে চেয়েছিল সেটি পুলিশ গ্রহণ করেনি।

এমএসি/ওএফ/জেএস